শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৮:২৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে পানি স্বল্পতায় কমছে বিদ্যুৎ উৎপাাদন গাজীপুর মিডিয়া ক্লাবের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল ফটিকছড়িতে ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুইরেন্সের ইফতার মাহফিল আলোচনা সভা টুঙ্গিপাড়া প্রেসক্লাব এর সভাপতি সওকত হোসেন মুকুল, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আফজাল হোসেন নির্বাচিত জামালপুরে ৩৫ বিজিবির পক্ষ থেকে অসহায় দুস্থদের মাঝে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কক্সবাজার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ উদ্বোধন ঈদের পোশাকের দাম গরিবের হাতের নাগালের বাইরে তাড়াশে প্রান্তিক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মধ্যে ছাগল প্রদান বরিশালে সাশ্রয়ী মূল্যে ডিম বিক্রির কার্যক্রম উদ্বোধন বাগেরহাটে গাঙচিলের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল

উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত রাখার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

খবরপত্র রিপোর্ট
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৮

বাংলাদেশের উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত রাখতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘অনেক ঘাত-প্রতিঘাত ও বাধা অতিক্রম করে বাংলাদেশকে সফলতার এই পথে এগিয়ে নিতে পেরেছি। এই সফলতার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে। সবার কাছে সেই দাবি করে যাচ্ছি, যদি এতটুকু ভাল কাজ কারো জন্য করে থাকি তাহলে সবার প্রতি আহ্বান, উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত রাখবেন।’

বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন একাডেমিতে ১০৭, ১০৮ ও ১০৯তম আইন এবং প্রশাসন কোর্সের সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

বাংলাদেশের খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনসহ খাদ্য উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় স্থান অধিকার করার দিকটি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চেষ্টা করলে যে পারা যায় সেটা আমরা প্রমাণ করেছি। আমাদের চিন্তাটাই হলো, দেশের মানুষের ভাগ্য কিভাবে গড়বো। সেইভাবেই আমরা পরিকল্পনা নিয়ে রেখেছি।

অতীতে হয়নি কেনো’ প্রশ্ন তুলে শেখ হাসিনা বলেন, কোনো সরকার যদি শুধু নিজে ব্যবসা করতে চায় ক্ষমতাকে হাতে নিয়ে তাহলে আর দেশের উন্নয়ন হয় না। কারো মনে যদি এ চিন্তা থাকে উৎপাদন করবো কেন? বিদেশ থেকে আমদানি করবো, সেখান থেকে কিছু পয়সা পাবো, সেখান থেকে কিছু কমিশন নেবো বা ব্যবসা করে লাভ করবো। তাহলে তারা উৎপাদন বাড়াতে চেষ্টা করবে না, অতীতেও করেনি। আর আমাদের সফলতা এ কারণে। আমরা সেইভাবে চিন্তা করিনি বরং চিন্তা করেছি আমাদের দেশে উৎপাদন বাড়াতে হবে।

আমরা সেইভাবেই উৎপাদন বাড়াবো যেন দেশের মানুষের কোনো খাদ্যের কষ্ট না হয় তাদের বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার কষ্ট না হয়। সেভাবেই চিন্তা করেই প্রতিটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি বলেই এই অর্জনগুলো এতো অল্প সময়ের মধ্যে করতে পেরেছি বলে দাবি করেন তিনি।

সারাবিশ্বে বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার দিকটি তুলে ধরে তিনি বলেন, অনেকেই বাংলাদেশকে একটু খাটো করে দেখাতে পারলে ছোট করে দেখাতে পারলেই যেন তাদের একটা আত্মতৃপ্তি হয়? কেন হয় জানি না! কিছু লোক তো আছেই এই দরিদ্র মানুষগুলোর হাড্ডিসার কঙ্কালসার অবস্থা দেখিয়ে দেখিয়ে কিছু ব্যবসা করে। তারা কিছু পয়সা আনে এবং সে পয়সা দিয়ে মানুষকে কতটুকু উপকার করে জানি না কিন্তু নিজেদের উপকার হয়। কিন্তু আমরা সেই গোত্রের নই। আমাদের লক্ষ্য যে, আমার দেশের মানুষকে কেউ ছোট চোখে দেখবে খাটো করে দেখবে, এটা আমি কখনো বরদাশত করতে পারি না। আমার কাছে কখনো গ্রহণযোগ্য না।

আমরা উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে মর্যাদা পেয়েছি, অনেকে আবার প্রশ্ন করবেন, উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে উন্নীত হলে, পরে আমরা এলডিসি কান্ট্রি হিসাবে যেসব সুযোগ পেতাম সেই সুযোগগুলি পাবো না। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা এলডিসি দেশ হিসাবে যে সুযোগ পেতাম, সেই সব সুযোগের প্রয়োজনেই হবে না যখন আমরা উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে আমাদের কর্মকান্ড পরিচালনা করবো। ওইটুকু করুণা পাবার জন্য ওইটুকু সুবিধা পাবার জন্য কি নিজেদেরকে ছোট করে রাখবো?

পদ্মা সেতু নিয়ে একটা অপবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছিল সেই চ্যালেঞ্জ আমি গ্রহণ করেছিলাম। আর আজকে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর নির্মাণ করছি। পদ্মা সেতু এখন দৃশ্যমান। ওই একটা সিদ্ধান্তই বাংলাদেশের ভাবমূর্তির পরিবর্তন ঘটিয়েছে। আর যে দুর্নীতির অপবাদ দিয়েছিল সেটা প্রমাণ করতে পারেনি।

প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, সব সময় একটা কথা মনে রাখবেন, সততাই শক্তি। আর দেশের মানুষের প্রতি কর্তব্যবোধ, দেশের মানুষের প্রতি একটা দায়িত্ববোধ নিয়েই কাজ করতে হবে। আর দেশটাকে সবসময় এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে যেন বাংলাদেশ একটা মর্যাদা নিয়ে চলতে পারে। যে অর্জনটা করেছি সেটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমি এমনভাবে পরিকল্পনা রেখে যাচ্ছি, যেন এই দেশকে আর কখনো পিছন ফিরে তাকাতে না হয়। সামনের দিকে যে অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছে সেই অগ্রযাত্রা যেন অব্যাহত থাকে।

আমাদের দারিদ্র ২১ ভাগে নামিয়েছি। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে যে, ২০২১ সালের মধ্যে এটাকে আরও ৪/৫ ভাগ অন্তত কমানো। যদি ৪/৫ভাগ কমাতে পারি? তাহলে অন্তত বলতে পারবো বাংলাদেশ এখন দারিদ্র্যমুক্ত।

অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন মন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক, জনপ্রশাসন সচিব ফয়েজ আহমেদ, বিসিএস প্রশাসন একাডেমীর রেক্টও মোশাররফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

খবরপত্র/এমআই




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com