বিএনপির পূর্ব ঘোষিত সারা দেশের ন্যায় ভোলা জেলা শহরে বিএনপি’র পদযাত্রা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাশাপাশি শান্তি মিছিল ও সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ। ২৫ ফেব্রুয়ারী শনিবার বেলা ১২:টায় জেলা বিএনপির কার্যালয়ে সমাবেশ শেষে এই পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। পদযাত্রায় অংশ নিতে সকাল থেকে ভোলা জেলার বিভিন্ন উপজেলার বিএনপির নেতাকর্মীরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে জেলা কার্যালয়ে এসে জড়ো হতে থাকে। বেলা ১১ঃ০০ টার দিকে বিএনপি জেলা কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা ও কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক ও বিএনপির কেন্দ্রীয় আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ভোলা জেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব গোলাম নবী আলমগীর, যুগ্ম- আহবায়ক আলহাজ্ব শফিউর রহমান কিরন, সদস্য সচিব রাইসুল, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিকউল্লাহ তালুকদার, ভোলা সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আশিফ আলতাফ প্রমূখ। এসময় বক্তারা, বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা সহ দেশব্যাপী বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানিয়ে রাজপথে থেকে বিএনপির সকল কর্মসূচীতে আন্দোলন সংগ্রামের পালনের প্রতিজ্ঞা করেন। সমাবেশ শেষে কালীনাথ বাজার বিএনপি কার্যালয় থেকে কয়েক হাজার নেতাকর্মী ব্যানার, ফ্যাস্টুন নিয়ে শহরে পদযাত্রা শুরু করে খলিফাপট্টি মসজিদের সামনে গেলে পুলিশের বাঁধার মুখে পড়ে। সেখানেই তারা অবস্থান নিয়ে সরকার বিরোধী নানা শ্লোগান দিতে থাকে। এসময় সরকারের পদত্যাগ, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবীতে নেতৃবৃন্দ এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দিয়ে পদযাত্রা শেষ করে। তবে পুলিশের বাঁধায় কোনো অপৃত্বিকর ঘটনা ঘটেনি। অপরদিকে, বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচির পাশাপাশি জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা শহরে শান্তি সমাবেশ করেছে। তারা শহরের সদর রোডে অবসর সিনেমা হলের সামনের রাস্তায় অবস্থান নিয়ে বিএনপির দেশব্যাপী নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তব্য প্রদান করে। এসময় তারা বিএনপির যে কোনো ষড়যন্ত্রকে রাজপথে মোকাবিলা করার অঙ্গিকার করেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল কাদের মজনু মোল্লা, ভোলা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম গোলদা, সদর উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান মোঃ ইউনুছ, শাহনেওায়জ পলাশ সহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ। কোনো প্রকার সহিংসতা এড়াতে শহরের বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশের সতর্কতামূলক অবস্থান লক্ষ করা গেছে।