কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা সদরে কোথাও কোন সিএনজি ও অটোবাইকে ওঠা-নামার জন্য নির্দিষ্ট কোনো স্ট্যান্ড না থাকায় ব্যস্ততম সড়কেই গাড়িগুলো রাখা হচ্ছে। ঐ সব চালকরা যত্রতত্র ভাবে গাড়ী পার্কিং করায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। ফলে উপজেলা সদরের পুরো শহর জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। আবার মাঝে-মধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা। অন্য দিকে ঢাকাগামী নাইটকোচ রাখার নির্দিষ্ট কোন স্থান না থাকায় প্রধান সড়কেই রাখা হচ্ছে নাইটকোচ গুলো। ফলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ পথচারীরা। এ যেন দেখার কেউ নেই। সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলা শহরের তিনকোণামোড় (জিরোপয়েন্ট) থেকে কলেজ মোড় হয়ে সোনালী ব্যাংক, অপর দিকে উপজেলা গেট এবং খাদ্য গুদাম পর্যন্ত যাতায়তের প্রধান সড়কের দুই পাশে রাখা হয়েছে অটোরিকশা,সিএনজি ,অটোবাইকসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন। প্রতিদিনেই ব্যস্ততম রাস্তার মধ্যেই যাত্রী ওঠানামা তাদের নিত্য দিনের সঙ্গী। জাহাঙ্গীর আলম, মাইদুল ইসলাম ,নুর ইসলাম নুরুসহ একাধিক ভুক্তভোগী জানান, জরুলী প্রয়োজনে কাছে ও দূরের হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন উপজেলা সদরে আসে। সদরে নিদ্রিষ্ট করে কোন বাসস্ট্যান্ড, সিএনজি ও অটোবাইকের স্ট্যান্ড না থাকায় এভাবেই রাস্তার ওপরেই সব ধরনের যানবাহন ইচ্ছেমতো রেখে যাত্রী ওঠা নামাসহ রাস্তার ওপর ঘন্টার পর ঘন্টা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র উঠানো কিংবা নামানো হয়। এতে করে দীর্ঘ যানজট লেগেই থাকে। অটোচালক জোবাইদুল হক , আমিনুল ইসলাম ও বাবু মিয়াসহ একাধিক চালক জানান, উপজেলা শহরে নির্দিষ্ট বাসস্ট্যান্ড ও সিএনজি-অটোবাইকের গ্যারেজ না থাকায় তারা বাধ্য হয়ে সড়কের ওপর গাড়ি রেখে যাত্রী উঠা নামা করছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌহিদুর রহমান জানান,আইন শৃংখলা মিটিংয়ে বাসস্ট্যান্ড ও সিএনজি- অটোবাইক গ্যারেজের বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করা হয়েছে। এর জন্য নির্দিষ্ট জায়গা খোঁজা হচ্ছে।