নিরাপত্তা, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, বাণিজ্য ও রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা করতে গতকাল শুক্রবার ঢাকায় এসেছেন ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়ক বৃটিশ প্রতিমন্ত্রী অ্যান-মারি ট্রিভেলিয়ান। হাইকমিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, যেহেতু বাংলাদেশ তার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখছে, সফরের লক্ষ্য হল সাফল্য উদযাপন করা এবং আগামী বছরের জন্য বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনসহ দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করা। বিজ্ঞপ্তি মতে, মিজ ট্রভেলিয়ান সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। পাশাপাশি সুশীল সমাজ, মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিনিধি, জলবায়ু বিশেষজ্ঞ এবং ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বৃটিশ মন্ত্রী বৃটিশ-বাংলাদেশ জলবায়ু চুক্তিতেও স্বাক্ষর করবেন, যার লক্ষ্য জলবায়ু কর্মকা-ে দ্বিপাক্ষিক এবং বহুপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়ানো, যাতে কপ-২৬ এবং কপ-২৭ এর সুফল নিশ্চিত হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বৃটিশ মন্ত্রী ট্রিভেলিয়ানকে উদ্বৃত করে বলা হয়, তিনি বলেছেন, “আমি বাংলাদেশ সফর করতে পেরে আনন্দিত। বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যার সঙ্গে বৃটেনের শক্তিশালী সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে।” মন্ত্রী বলেন, বৃটেন ৫১ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ অংশীদার হিসেবে পাশে থাকতে পেরে গর্বিত। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ থেকে শুরু করে প্রতিরক্ষা, জলবায়ু কর্মকা- এবং মানবিক সহযোগিতা দুই দেশের সম্পর্কের যৌথ নীতিতে নিহিত রয়েছে। বৃটিশ মন্ত্রী বলেন, আমার সফরের মাধ্যমে, আমি আমাদের ঘনিষ্ঠ এবং মূল্যবান অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করার অপেক্ষায় রয়েছি।
এ বিষয়ে ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন বলেন, এই সফর বাংলাদেশের প্রতি বৃটেনের প্রতিশ্রুতি এবং দুই দেশের অংশীদারিত্বের ভবিষ্যৎ নিয়ে উচ্চাকাঙ্ক্ষার কথা পুনর্ব্যক্ত করে। তিনি বলেন, আমরা বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, জলবায়ু, নিরাপত্তা, শিক্ষা ও নারী ও মেয়েদের জন্য সমতা এবং রোহিঙ্গা সঙ্কটসহ বিভিন্ন বিষয়ে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করব। মন্ত্রী ট্রেভেলিয়ান ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গাদের জন্য বৃটেনের মানবিক সহায়তা কিভাবে ব্যবহার হচ্ছে তা সরজমিনে দেখতে কক্সবাজার যাবেন।