দেশে বেকারের সংখ্যা ২৬ লাখ ৩০ হাজার বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। এর মধ্যে বেকার পুরুষের সংখ্যা ১৬ লাখ ৯০ হাজার, আর বেকার নারীর সংখ্যা ৯ লাখ ৪০ হাজার। বিবিএস জানায়, দেশে এখন বেকার জনগোষ্ঠীর হার কমে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ হয়েছে, যা আগে ছিল ৪ দশমিক ২ শতাংশ। গতকাল বুধবার (২৯ মার্চ) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত ‘শ্রমশক্তি জরিপ ২০২২’ এ এমন চিত্র উঠে এসেছে। আগারগাঁওয়ের পরিসংখ্যান ভবনে এ উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে বিবিএস। সভায় বলা হয়, এ বিশাল বেকার জনগোষ্ঠী সপ্তাহে এক ঘণ্টা কাজ করার সুযোগও পায় না। বেকারত্বের এ হিসাব আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) দেওয়া মানদ- অনুযায়ী। আইএলও মনে করে, সপ্তাহে এক ঘণ্টা কাজ না করলে ওই ব্যক্তিকে বেকার হিসাবে ধরা হয়। বিবিএসের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, বিগত পাঁচ বছরে শ্রমবাজারের সূচকগুলো উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। ২০২২ সালের ফলাফলে পাওয়া যায়, বেকারত্বের হারের সূচক কমেছে। শ্রমশক্তিতে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণের হারে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা গেছে এবং কর্মে নিয়োজিত বিশেষ করে শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে। যুব জনগোষ্ঠীর শ্রমবাজারে অংশগ্রহণ বেড়েছে। কৃষি এবং সেবাখাতে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী বেড়েছে।
প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি ও নির্বাচনী ইশতেহার ২০১৮, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট এবং পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়নে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখবে। বিস্তারিত প্রতিবেদনে শ্রমবাজারের সূচকগুলোর বিশ্লেষণ এবং পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাওয়া সম্ভব হবে।
নমুনা ফ্রেম হিসেবে জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২ এর দ্বিতীয় জোনাল অপারেশন ব্যবহার করে দেশব্যাপী এক হাজার ২৮৪টি প্রাথমিক গণনা এলাকা ও প্রতিটি প্রাথমিক গণনা এলাকা থেকে ২৪টি খানা নির্ধারণ করা হয়। ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে ৩০ হাজার ৮১৬টি খানা এবং বছরে মোট এক লাখ ২৩ হাজার ২৬৪টি খানা থেকে নির্দিষ্ট প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে এ তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। ১৫ কোটি ৫০ লাখ ১০ হাজার টাকা ব্যয় করে ‘শ্রমশক্তি জরিপ-২০২২’ প্রকল্পের আওতায় এই তথ্য দেওয়া হয়। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২০ এর জুলাই থেকে ২০২৫ এর জুন।