অনুকূল আবহাওয়া ও সঠিক পরিচর্যার কারণে চলতি মৌসুমে মিরসরাইয়ে আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। গাছে গাছে দুলছে নানান জাতের আম। ইতোমধ্যে আম পেড়ে বাজারজাত করছে আম চাষিরা। দাম ভালো পেলে লাভবান হবে বলে আশা করছেন বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা। মিরসরাই উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, মিরসরাইয়ে ১৩০ হেক্টর জমিতে আমের আবাদ করেছেন ২০০ আমচাষি। সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার করেরহাট, হিঙ্গুলী, জোরারগঞ্জ, মীরসরাই, খৈয়াছরা ও ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের পাহাড়ের পাদদেশে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা আম্রপালি, ল্যাংড়া ভোগ, হাঁড়িভাঙা, মল্লিকা, ব্যানানা ম্যাংগো, মিয়াজাকি, ফজলিসহ বিভিন্ন জাতের আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। এ ছাড়া, অন্যান্য ইউনিয়নেও আমের চাষ করা হয়েছে। করেরহাট ইউনিয়নের পশ্চিম অলিনগরে অবস্থিত হিলস ডেল মাল্টি ফার্মের উদ্যোক্তা অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী মঈন উদ্দিন বলেন, ‘আমার বাগানে ৮০০ আমরুপালি, হাঁড়িভাঙাসহ বিভিন্ন জাতের আম গাছ রয়েছে। গতবারের চেয়ে প্রতিটি গাছে ভালো ফলন হওয়ায় এবার ৩০০ মেট্রিক টন আমের উৎপাদন হবে। ক্রেতাদের জন্য বাগানে এসে আম পেড়ে খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। পাশাপাশি খুচরা ও পাইকাররা সরাসরি আম কিনে নিয়ে যেতে পারবেন বলেও জানান তিনি।’ জোরারগঞ্জের আমচাষী ফিরোজ খাঁন বলেন, ‘উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে দুই একর জায়গা জুড়ে বিভিন্ন প্রজাতির আমের বাগান করেছি। এখানকার মাটি ও আবহাওয়া ভালো হওয়ায় আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। এবার আম বিক্রি করে খরচ পুষিয়ে তিন লাখ টাকা লাভ হবে বলে আশা করছি।’ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, ‘আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মিরসরাইয়ে ১৩০ হেক্টর জমিতে আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। এবার চার হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারে আমের ভালো দাম থাকায় বাগান মালিক ও আমচাষিরা লাভবান হবেন।’