কিশোরগঞ্জে মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানার জায়গা দখলের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। রোববার (৪ জুন) দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এলাকাবাসীর ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে জেলা প্রশাসক আবুল কালাম আজাদের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা শোয়াইব। জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মাইজখাপন ইউনিয়নের বড়খাপন গ্রামে খালিদ বিন ওয়ালিদ (রাঃ) মসজিদ, কওমি মাদ্রাসা ও এতিমখানা নির্মাণের জন্য ২০১৩ সেপ্টেম্বরের ২২ তারিখ রাবিয়া আক্তার খাতুন ও তাঁর দুইপুত্র ডা. রাজিবুল ইসলাম রাজন ও ডা. সজিবুল ইসলাম এই তিনজন মিলে তিন দলিলে ৩০৮.২৫ শতাংশ জমি দানপত্র রেজিস্ট্রি করে দান করেন। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে ওই মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানাটি নির্মিত হয়। বর্তমানে মাদ্রাসাটিতে ২৫০ জন ছাত্র লেখাপড়া করছে। এছাড়াও ৫০ জন এতিমছাত্র এতিমখানায় অবস্থান করছে। ওই এতিম ছাত্রদের খাওয়া-দাওয়াসহ পুরোপুরি ভরণপোষন মাদ্রাসা ও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বহন করা হয়। ২০২০ সালে করোনা মহামারী চলাকালীন সময়ে মাদ্রাসা বন্ধ থাকা অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দা হাছু মিয়া, বাচ্চু মিয়া, রাজন মিয়া, সুজন মিয়া, রিপন মিয়াসহ স্থানীয় অসাধু একটি চক্র মাদ্রাসার জমিতে সীমানা খুঁটি উপড়িয়ে ও তারের বাউন্ডারী কেটে অবৈধ অনুপ্রবেশ করে আনুমানিক ৫০ শতাংশ জমি অবৈধভাবে দখল করে নেয়। মাদ্রাসা কমিটির সদস্য মো. লুৎফর রহমান জানান, মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানার ওয়াকফ করা ৫০ শতাংশ জমি দখলে নেয়ার কারণে প্রতিষ্ঠানটির স্বাভাবিক কর্মকা- পরিচালনায় মারাত্মক ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। এ অবস্থায় খালিদ বিন ওয়ালিদ (রাঃ) কওমি মাদ্রাসা ও এতিমখানা ও মসজিদের ওয়াকফকৃত সম্পত্তি থেকে আনুমানিক ৫০ শতাংশ অবৈধ দখলে নেয়া জমি উদ্ধার করে পুণরায় মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানাকে ফিরিয়ে দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই। এ সময় শিক্ষক শিক্ষার্থী এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।