শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪১ অপরাহ্ন

সেনবাগে ২টি মৎস্য খামারে বিষ প্রয়োগ করে প্রায় ৬ মণ মাছ মেরে ফেলেছে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা

মোঃ হারুন সেনবাগ :
  • আপডেট সময় সোমবার, ১২ জুন, ২০২৩

মানুষে মানুষে শত্রুতা-মাছের কি দোষ। নোয়াখালীর সেনবাগের ৪নং কাদরা ইউনিয়নে এক নারী উদ্যোক্তা ও এক রেমিটেন্স যোদ্ধার দুইটি মৎস্য খামারে বিষ প্রয়োগ করে প্রায় ৬ মণ মাছ মেরে ফেলেছে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। ঘটনাটি ঘটে সেনবাগ উপজেলার ৪নং কাদরা ইউনিয়নের ঢালুয়া গ্রামের মনোহর আলী চৌধুরী বাড়িতে। ঐ বাড়ির নারী উদ্যোক্তা মর্জিনা আক্তার ও রেমিটেন্স যোদ্ধা কাতার প্রবাসী ওমর ফারুক চৌধুরীর দুইটি মৎস্য খামারে বিষ প্রয়োগ করে প্রায় ৬ মণ মাছ মেরে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। উক্ত ঘটনায় মীর হোসেনর স্ত্রী মর্জিনা আক্তার বাদী হয়ে সেনবাগ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়-মনোহর আলী চৌধুরী বাড়ির কাতার প্রবাসী ওমর ফারুক চৌধুরী ও নারী নারী উদ্যোক্তা মর্জিনা আক্তার তাদের বাড়ির পাশের জমিতে তিনটি মাছের প্রজেক্ট করে দীর্ঘ ৪বছর সুনামের সাথে মাছের ব্যবসা করে আসছিলেন, কারো সাথে কোন সমস্যা হয়নি, তাদের এই উন্নতি দেখে ঈর্ষান্বিত হয়ে কে বা কাহারা গত ৮ জুন তাদের অনুপস্থিতিতে তাদের তিনটি মাছের প্রজেক্টের মধ্যে দুইটি প্রজেক্টে বিষ প্রয়োগ করে প্রায় ৬ মণ মাছ ও রেনু মেরে ফেলেছে, যার বাজার মুল্য প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা। নারী উদ্যোক্তা মর্জিনা আক্তার উক্ত ঘটনার জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার জন্য থানা প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, কেউ শত্রুতা করে আমাদের অনুপস্থিততে আমাদের মৎস্য খামাারে বিষ ঢেলে দিয়ে মাছ ও রেনু গুলো মেরে ফেলেছে। মৎস্য খামারের অপর মালিক রেমিটেন্স যোদ্ধা কাতার ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন দীর্ঘদিন প্রবাসে পরিশ্রম করে কিছু টাকা পয়সা ইনকাম করে বাড়ির পাশে নিজস্ব জমিতে তিনটি প্রজেক্ট করেছি এবং আমাদের নিজস্ব লোক যারা পরিচালনা করে সুনামের সাথে গত ৪ বছর যাবৎ মৎস চাষ করে মাছের ব্যবসা করে আসছি, কোন সমস্যা হয়নি, এখন কে বা কারা ঈর্ষান্বিত হয়ে মৎস্য খামারের বিষ প্রয়োগ করে খামারের মাছগুলো মেরে ফেলেছে। মৎস্য খামারের কেয়ারটেকার জামাল হোসেন জানান-প্রতিদিনের ন্যায় গত বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা মাছের প্রজেক্টে গিয়ে দেখি অনেকগুলো মাছ মরে ভেসে রয়েছে, এর কিছুক্ষণ পর দেখি পুরা প্রজেক্টের বিভিন্ন স্থানে মাছগুলো মরে মরে ভেসে উঠতেছে। পরে আমি বাড়িতে গিয়ে ভাবিকে ঘটনাটি জানাই এবং মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ফারুক ভাইকে বিস্তারিত খুলে বললে উনারা দ্রুত প্রজেক্টে চুটে আসেন। এসে দেখেন পুরো প্রজেক্টে মাছ মরে মরে ভেসে উঠছে, একপর্যায়ে তারা বাড়ির পিছনের প্রজেক্টে গেলে সেখানে পানিতে একটি বিষের বোতল পান। উক্ত ঘটনা শোনার পর স্থানীয় ইউপি মেম্বার এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com