আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন নওগাঁর আত্রাই উপজেলার খামার মালিক ও গৃহস্তরা। কোরবানির ঈদ সামনে রেখে বাজার ধরতে প্রস্তুত প্রায় ৪৮ হাজার গবাদিপশু। এবার ঈদে পশুর ভালো দামের আশা করছেন খামার মালিক ও গৃহস্থরা। এদিকে উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিস বলছে, খামার গুলোতে যাতে নিরাপদ পদ্ধতিতে গবাদি পশু মোটাতাজাকরণ করা হয় সেদিকে সর্ব ক্ষণিক নজর রাখা হচ্ছে। উপজেলা প্রাণি সম্পদ কার্যালয় সুত্রে জানা যায়,আসন্ন ঈদুল আযাহাকে সামনে রেখে উপজেলায় কোরবানি যোগ্য ৪৭ হাজার ৯৭৯টি পশু রয়েছে। এই পশুর গুলোর মধ্যে গরু (ষাঁড়,বলদ,গাভী) ৩ হাজার, ছাগল ৩৮ হাজার ৮৮৯ এবং ভেড়া ৬ হাজার ৯০টি। উপজেলায় স্থায়ী হাটের সংখ্যা ১৬টি। এসব হাটের প্রায় সবগুলো হাটে কোরবানি যোগ্য পশুগুলো বিক্রির জন্য তোলা হবে। ইতিমধ্যে স্থায়ী কিছু হাটে পশু বিক্রি শুরু হয়েছে। গত বছর উপজেলায় মোট প্রায় ২৬ হাজার গবদি পশু কোরবানি করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই উপজেলার বিভিন্ন হাটে কোরবানি যোগ্য পশু বিক্রিয় করার জন্য তোলা হচ্ছে। কাঙ্খিত দামে মিলে গেলে বিক্রিও করছে অনেকে। এছাড়াও হাটে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ব্যাপারিরাও কোরবানিযোগ্য পশু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। আবার বাহির থেকে বিভিন্ন ব্যাপারিরা কোরবানিযোগ্য পশু কিনে আনছেন। এদিকে গবাদিপশু মোটাতাজাকরণে ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্যাদি ব্যবহার রোধে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে নানা উদ্যেগ নেওয়া হয়েছে। খামারি ও পশুপালনকারী ব্যক্তিদের মধ্যে প্রশিক্ষণ ব্যবস্থার পাশাপাশি তাদের পৌঁছে দেওয়া হয়েছে সচেতনতামূলক বার্তা। সব মিলিয়ে এ বছর উপজেলায় কোরবানির পশুর কোন সষ্কট পড়বে না। দেশীয় পশুতেই কোরবানি সম্পন্ন করতে পারবেন এমনটি আশাবাদি আত্রাই বাসীর। এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকতা ডাঃ আবু আনাছর জানান, আত্রাই উপজেলায় গত বছরের চেয়ে চলতি বছর অনেক বেশি পশুর যোগান রয়েছে। যা এ উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে পাঠানো সম্ভব হবে। গেবাদি পশুকে কোন প্রকার রাসায়নিক দ্রব্যাদি ব্যবহার না করে সেজন্য আমরা খামারি এবং ব্যাক্তি পর্যায়ে প্রচারণা চালিয়েছি। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ঈদুল আযাহার হাট পুরো দমে শুরু হলে প্রতি হাটে মেডিক্যাল টিম বসানো হবে।