শরণখোলা উপজেলা সদর রায়েন্দা বাজারের পুকুরে মার্কেট নির্মাণ বন্ধের দাবীতে বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টায় মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। বাগেরহাট জেলা পরিষদ ঐ পুকুরে দোকান ঘর নির্মাণের ইজারা বন্দোবস্ত দেওয়ায় তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এ মানববন্ধন করে। বৃহস্পতিবার (২২ জুন) দুপুরে রায়েন্দা বাজারের একমাত্র শতবর্ষী মিষ্টি পানির পুকুর পাড়ে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সদরের রায়েন্দা সরকারি পাইলট হাইস্কুল, শরণখোলা আইডিয়াল ইনস্টিটিউট ও আরকেডিএস বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহণ করেন। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা এমএ রশিদ আকন, শরণখোলা আইডিয়াল ইনষ্টিটিউটের অধ্যক্ষ মোঃ উসমান গণি, তাতিলীগ নেতা মোঃ শাহিন হোসেন, তাইজুল ইসলাম মিরাজসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী। শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নুর ই আলম সিদ্দিকী জানান, জেলা পরিষদের মালিকানাধীন শরণখোলার রায়েন্দা পুকুরের দক্ষিণ পাশে আধা-পাকা ঘর নির্মানের জন্য সাত জনের নামে ২০২২ সালের ১৭ জুলাই জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরিত ইজারা বন্দোবস্ত দেয়া পত্রের একটি অনুলিপি (স্মারক নং-৪৬.৪২.০১০০.০০১.৩২.১০০.২২.২৯৮(৭) গতকাল তার দপ্তরে এসেছে পৌছে। ওই পত্রে উল্লেখিত ইজারা বন্দোবস্ত নেয়া সাত ব্যক্তি হচ্ছেন, শিরিন সুলতানা রুমি, মোঃ আসাদুজ্জামান খান, উজ্জল সাহা, অম্বরিশ রায়, মৌসুফা নুর মুমু, মোঃ ইমরান উদ্দিন শুভ, শিশির কুমার সাহা। ইউএনও জানান, পুকুরটি স্থাণীয় জনসাধারনের জন্য খুবই গুরুত্ব পুর্ণ। শরণখোলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্ত বলেন, এ পুকুরটি রায়েন্দা বাজারের হাজার হাজার মানুষের মিষ্টি পানির চাহিদা পুরণ করে আসছে। সংরক্ষিত এ পুকুরটিতে দীর্ঘদিন ধরে মাছ চাষও বন্ধ রয়েছে। জেলা পরিষদ কিভাবে পুকুরে পাকা ঘর নির্মানের জন্য ইজারা বন্দোবস্ত দেয় তা বোধগম্য নয়। রায়েন্দা সরকারি পাইলট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অমলেন্দু হালদার, রায়েন্দা সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সাইদুর রহমান, শরণখোলা আইডিয়াল ইনষ্টিটিউটের অধ্যক্ষ মোঃ উসমান গনি বলেন, তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার শিক্ষার্থী ওই পুকুরের পানি ব্যবহার করে থাকে। রায়েন্দা ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ আজমল হোসেন মুক্তা বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে পুকুরটি সাধারন মানুষের জন্য সংস্কার করা প্রয়োজন। জানতে চাইলে বাগেরহাট জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ঝুমুর বালা বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এ ব্যপারে খোঁজ খবর নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে। বাগেরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা কামরুজ্জামান টুকু বলেন, এ বিষয়ে কেউ লিখিত আপত্তি দিলে তদন্ত করে প্রয়োজনে ইজারা বাতিল করা হবে।