রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩১ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
সুনামগঞ্জের ধোপাজান নদীতে বালিপাথর লুটতরাজ বন্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমাবেশ কেশবপুরে বিশ্ব শিশু দিবস পালন ও শিশু অধিকার সপ্তাহের উদ্বোধন শ্রীপুরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ ভালুকায় বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা ও বিট কর্মকর্তার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ ঈশ্বরগঞ্জে স্কুলছাত্র রাব্বি হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন কালীগঞ্জে এক রাতে ৯ গরু চুরি ভুক্তভোগী খামারীদের আহাজারী কলমাকান্দায় দশম গ্রেডের দাবীতে শিক্ষকদের মানববন্ধন নেত্রকোণা পৌরসভার সড়কে খানাখন্দ দুর্ভোগে পথচারীরা ত্রিশালে শহীদ ও আহতের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান লামায় চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের সংবাদ সম্মেলন

আজকে কেউ বিসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারি নয়, সকলেই মেয়রের আমন্ত্রিত মেহমান

শামীম আহমেদ বরিশাল :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৪ জুলাই, ২০২৩

উচ্চ পদস্থ থেকে শুরু করে দৈনিক মজুরি ভিত্তিক সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সরব উপস্তিতি আর আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশে অন্যরকম এক মিলন মেলা নগরীর কালিবাড়ী রোডস্থ সেরনিয়াবাত ভবনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ এবং তাঁর সহধর্মিনী লিপি আবদুল্লাহর সান্নিধ্যে বেশ কিছু সময় কাটিয়ে ধর্ম-বর্ন নির্বিশেষে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিয়েছেন সকলে। এসময় মেয়র সাদিক আবদুল্লাহকে কাছে পেয়ে অনেকে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। অনেকেই চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। তারা সকলে কৃতজ্ঞ চিত্তে কর্মকর্তা-কর্মচারিদের জন্য মেয়রের বিগত বিগত দিনের কর্মকান্ড স্মরণ করেন। বিগত দিনের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এবছরও পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর আমন্ত্রনে বিশেষ মেহমান হিসেবে কর্পোরেশনের ২৩টি বিভাগ ও শাখার ২১’শত নিয়মিত ও অনিয়মিত কর্মকর্তা-কর্মচারী তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সোমবার মধ্যহ্ন ভোজে অংশগ্রহন করেন। মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ সহধর্মিনী লিপি আবদুল্লাহকে সাথে নিয়ে সকলের সাথে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি কুশলাদী বিনিময় করেন।মেয়র ও তাঁর সহধর্মিনীর আতিথেয়তায় কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী একপর্যায়ে ভুলেই গিয়েছেন তারা সকলে মেয়রের অধীনস্থ কেউ। সোমবার দুপুর ১২টার পর থেকেই কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সারিবদ্ধভাবে নগরীর কালিবাড়ী রোডের সেরনিয়াবাত ভবনে আসতে শুরু করে।সময় বাড়ার সাথে সাথে কানায় কানায় পরিপূর্ন হয়ে উঠে সেরনিয়াবাত ভবন।
এসময় যারা স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্বে ছিলেন তারা আগতদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, মেয়র মহোদয় বলেছেন আজকে কেউ বিসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারী নন, সকলেই সম্মানিত অতিথি।এরপর উপস্থিত অতিথিদের (কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্য) নিজ নিজ আসনে বসিয়ে মধ্যাহ্ন ভোজে আপ্যায়িত করা হয়। মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ ও সহধর্মিনী লিপি আবদুল্লাহ আলাদা আলাদাভাবে খাবারের প্রতিটি টেবিলে গিয়ে মধ্যাহ্ন ভোজে অংশ নেয়া সকলের সাথে কুশলাদী বিনিময় করেন।তাদের সাথে কথা বলে বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজ খবর নেন।এসময় মেয়র আর তাঁর সহধর্মিনীকে এভাবে কাছে পেয়ে এবং তাঁদের ব্যবহার ও আতিথেয়তায় আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন অনেকে। নগরীর কাউনিয়া সেবক কলোনী, কাটপট্টি ও পদ্মাবতী সহ বিভিন্ন এলাকার যারা দৈনিক মজুরি ভিত্তিক হিসেবে পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে কাজ করেন তাদের প্রায় সকলেই এসেছিলেন পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে নিয়ে। খাবার খেতে বসে তারা অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, আসার পর যখন বলা হলো আজ কেউ কর্মকর্তা-কর্মচারী নন, সকলেই অতিথি।তখন আমাদের মনটা আনন্দে ভরে গেছে।খাবারের সময় মেয়র মহোদয় আর তাঁর স্ত্রী যখন আমাদের টেবিলের পাশে এসে দাঁড়ালো, আমাদের সাথে কথা বললো, খোঁজ খবর নিলো তখন সত্যি গর্বে বুকটা ভরে গেলো।কর্পোরেশনের চিফ এ্যাসেসরের দায়িত্বে থাকা কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, মেয়র মহোদয়ের এ উদ্যোগটি শুধু মহৎ উদ্যোগই নয়, ব্যতিক্রমও।সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী এক টেবিলে বসে খাবার খেয়েছে। কর্পোরেশনের ইতিহাসে সত্যি এটা এক নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত। কর্পোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস বলেন, সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ মহোদয় মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে পবিত্র রমজান মাসে স্টাফদের জন্য ইফতারের আয়োজন করেছেন। পাশাপাশি প্রতিবছর ঈদ পূর্নমিলনীর আয়োজন করে স্টাফদের আপ্যায়িত করে থাকেন। তারই ধারাবাহিকতায় এবছর তার ব্যাপ্তি আরো বাড়িয়ে বিসিসির মোট ২৩টি বিভাগ ও শাখার ২১’শত নিয়মিত ও অনিয়মিত কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সম্মানিত মেহমান হিসেবে আমন্ত্রন জানিয়ে আপ্যায়িত করে তিনি যে একজন মানবিক মেয়র তা আবারো প্রমান করেছেন।তিনি আজকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যে সম্মান দেখিয়েছেন তা সকলে আজীবন কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করবেন বলেও মনে করেন প্রশাসনিক এ কর্মকর্তা। মেয়রের এ আয়োজনে অংশ নেয়া বেশ কয়েকজন প্রবীন স্টাফের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তাদের কর্মজীবনে তারা এধরনের বড় কোন আয়োজনে অংশ নেয়ার সুযোগ পাননি।কোন মেয়র বা জনপ্রতিনিধি এভাবে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এক টেবিলে বসে খাবার খাওয়ানোর উদ্যোগ নেয়নি কখনো।তারা আরো বলেন, আমরা অতিথি হিসেবে তৃপ্তি সহকারে শুধু যে খাবার খেয়েছি তা শুধু নয়। আমরা মেয়র মহোদয় ও তাঁর সহধর্মিনীর সান্নিধ্য পেয়েছি, তারা প্রতিটি টেবিলে গিয়ে সকলের সাথে কথা বলেছেন এটাও অনেক বড় প্রাপ্তি। মধ্যাহ্ন ভোজে অংশ নেয়া নিয়মিত বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা মেয়র মহোদয়কে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ২৯ জুন ঈদুল আযহা উদযাপিত হলেও এধরনের আয়োজন আমাদের ঈদের খুশিতে বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে। এব্যাপারে মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ বলেন, আমি সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে প্রতিটি স্টাফকে আমার পরিবারের সদস্য মনে করি। তাদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতেই একসাথে বসে একবেলা খাবার খাওয়ার ইচ্ছা থেকেই আমার এ আয়োজন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com