জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় বাঁশের তৈরী ফাঁদ ব্যবহারের ফলে দেশী ছোট প্রজাতির মাছ রুপ কথা গল্পের মতো হয়ে যাচ্ছে। ফাঁদ ব্যবহারের কারণে বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছের পোনা ও মাছ উৎপাদন কমে যাচ্ছে। গ্রামগঞ্জে বাঁশের তৈরী ঢেল, ডেরু, চাটায়, খোলইসহ এসব বিভিন্ন নামের ফাঁদ জলাশয়ে পেতে মাছের বংশ নষ্ট করছে এক শ্রেণীর অসাধু শিকারিরা। অন্যদিকে বিভিন্ন খালে ও ডোবায় অধিকহারে কীটনাশক ব্যবহারের কারণে মাছের বংশ বিস্তার করতে পারছে না। এসব অবৈধ ফাঁদ প্রতিরোধ করতে না পারলে দেশীয় প্রতাজির মাছের উৎপাদন কমে যাবে। তারপরও থেমে নেই মাছ শিকারে অসাধু শিকারিরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে অবৈধভাবে বাঁশের তৈরী ফাঁদ বিক্রি করে থাকে স্থানীয় সুবিধাভোগী ব্যবসায়ীরা। বৈশাখ থেকে ভাদ্র মাসের শেষ পর্যন্ত উপজেলার পৌরসভাসহ ৮টি ইউনিয়নের ধানের জমি ও খাল-বিলে, ডোবা-নালা ও নদীতে বাঁশের ফাঁদ পেতে বিভিন্ন প্রজাতির পোনা মাছ ও ডিমওয়ালা মাছ শিকার করা হয়। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী মাছ শিকারের জন্য ব্যবহৃত নিয়ম-কানুন না মেনে অবৈধভাবে ফাঁদ পেতে মাছ শিকারের মেতে উঠেছে অসাধু শিকারিরা। এই সকল অসাধু শিকারির দুই সুতা পরিমাণ ফাঁকা রেখে বাঁশের ফাঁদ তৈরী করে ব্যবহার করছে। ফলে দেশীয় প্রজাতির মাছের বংশ নষ্ট করছে। আর দেশী মাছের প্রজনন কমে যাচ্ছে। অন্যদিকে এ অঞ্চলের মানুষের মাছের আকাল দিন দিন বেড়েই চলেছে। এমতাবস্থায় বাঁশের ফাঁদ ব্যবহার দ্রুত বন্ধ না করলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে দেশীয় মাছে রুপকথা গল্পের মতো থেকে যাবে। এ ব্যাপারে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মাহমুদা খাতুন বলেন, বাঁশের তৈরী ফাঁদ মাছ শিকারের কারণে এই অঞ্চলে দেশীয় প্রজাতি মাছের উৎপাদন কমে যাচ্ছে। তবে এই বাঁশের ফাঁদগুলো ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকার জন্য উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে এবং খালগুলোতে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে অভিযান পরিচালনা করা হবে।