রাজধানীর মগবাজারের দিলু রোডে একটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তমূলক বলে মনে করছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতেই এটা করা হচ্ছে। যারা বিরোধী দলকে দোষারোপ করতে চায়, তারা এগুলো করছে। তারা তাদের বিভিন্ন সংস্থাগুলো দিয়ে এগুলো করাচ্ছে।’
গতকাল মঙ্গলবার ১১ জুলাই গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপির প্রশিক্ষণ সেলের উদ্যোগে ‘নারী নেতৃত্ব অগ্রগতি বিষয়ক’ এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, চিফ অব পার্টি (ডিআই) ডেনা এল ওলস্, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, বিএনপি নেতা এবিএম মোশাররফ হোসেন, বিএনপি নেত্রী রাশেদা বেগম হিরা, রেহানা আক্তার রানু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আজকে আমরা অসম যুদ্ধের মধ্যে আছি। এই যুদ্ধটা হচ্ছে, আমাদের গণতন্ত্রকে রক্ষা করার যুদ্ধ। আমাদের দেশকে রক্ষা করার যুদ্ধ। এই লড়াই হচ্ছে, আমাদের অস্তিত্বের লড়াই। আর সময় খুব কম। এই সময়ের মধ্যে আমাদের সমস্ত মানুষকে জাগিয়ে তুলতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের একটা সমস্যা আছে। চরিত্রগত বৈশিষ্ট্য, সেই বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। ওরা একনায়কতন্ত্রের মানসিকতা নিয়ে কাজ করেছেন। আর রাজনৈতিক দলগুলোর গণতন্ত্রের স্পেস ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এরা (আওয়ামী লীগ) ক্ষমতায় থাকতে চায়। আর ক্ষমতায় স্থায়ীভাবে থাকতে চায়। আর আমরা গণতন্ত্রকে ফিরে আনার জন্য গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কাজ করছি।’
ফখরুল বলেন, ‘আজকে বিদেশিদের নিয়ে কথা হচ্ছে। কেন বিদেশিরা আসছে? আমেরিকার আজ একটা টিম আসছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে একটা টিম এসেছে। তারা এখানে মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও নির্বাচন সম্পর্কে জানতে এসেছেন এবং বুঝতে চায়। আর এখানে গণতন্ত্র নাই, নির্বাচন হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘সামনে নির্বাচনে নির্ধারিত হবে যে, দেশে গণতান্ত্রিক থাকবে কি থাকবে না। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব থাকবে কি থাকবে না। তাই আজ আমাদের সকলের দায়িত্ব রুখে দাঁড়াতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আজকে আমরা অসম যুদ্ধের মধ্যে আছি। এই যুদ্ধটা হচ্ছে, আমাদের গণতন্ত্রকে রক্ষা করার যুদ্ধ। আমাদের দেশকে রক্ষা করার যুদ্ধ। এই লড়াই হচ্ছে, আমাদের অস্তিত্বের লড়াই। আর সময় খুব কম। এই সময়ের মধ্যে আমাদের সমস্ত মানুষকে জাগিয়ে তুলতে হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগের একটা সমস্যা আছে। চরিত্রগত বৈশিষ্ট্য, সেই বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। ওরা একনায়কতন্ত্রের মানসিকতা নিয়ে কাজ করেছেন। আর রাজনৈতিক দলগুলোর গণতন্ত্রের স্পেস ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এরা (আওয়ামী লীগ) ক্ষমতায় থাকতে চায়। আর ক্ষমতায় স্থায়ীভাবে থাকতে চায়। আর আমরা গণতন্ত্রকে ফিরে আনার জন্য গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কাজ করছি।’
ফখরুল বলেন, ‘আজকে বিদেশিদের নিয়ে কথা হচ্ছে। কেন বিদেশিরা আসছে? আমেরিকার আজ একটা টিম আসছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে একটা টিম এসেছে। তারা এখানে মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও নির্বাচন সম্পর্কে জানতে এসেছেন এবং বুঝতে চায়। আর এখানে গণতন্ত্র নাই, নির্বাচন হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘সামনে নির্বাচনে নির্ধারিত হবে যে, দেশে গণতান্ত্রিক থাকবে কি থাকবে না। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব থাকবে কি থাকবে না। তাই আজ আমাদের সকলের দায়িত্ব রুখে দাঁড়াতে হবে।’
আ’লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমি বারবারই বলি আওয়ামী লীগের একটি সমস্যা আছে, এটি হচ্ছে চরিত্রগত বৈশিষ্ট্য। বরাবরই তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না।
মির্জা ফখরুল বলেন, ১৯৪৭ সালের পর থেকে পাকিস্তান তারপর বাংলাদেশ। এদেশে বারবার গণতন্ত্রের চর্চা ব্যর্থ হয়েছিল। অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার, যে জন্য ১৯৭১ সালে আমরা যুদ্ধ করেছিলাম। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য। সেই গণতন্ত্র চর্চা ধ্বংস করেছে তখন ক্ষমতায় ছিল আওয়ামী লীগ। এটা পরিষ্কার কথা এবং তারা একের পর এক আইন তৈরি করেছিল ক্ষমতায় থাকার জন্য যখন জনগণ তাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছিল।
আওয়ামী লীগ বরাবরই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। ওরা একনায়কতন্ত্র বিশ্বাসী। ওরাভাবে আর কেউ নেই। ১৯৭৪ সালের তারা সকল দলকে নিষিদ্ধ করে একটি মাত্র দল রেখেছিল। তারা প্রচার মাধ্যম বন্ধ করে রেখেছিল। মানুষের মানবিক অধিকার কেড়ে নিয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘আমাদের মন মানসিকতায় যদি ডেমোক্রেসি না থাকে তাহলে আমরা কেউ ডেমোক্রেসি প্রতিষ্ঠা করতে পারবো না। এটি হচ্ছে মন মানসিকতার বিষয়। এক্ষেত্রে আমাদেরকে সহনশীল হতে হবে। সকলের মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা দিতে হবে। দুর্ভাগ্য আমাদের সেই জাতি হিসেবে, যখন আমি আপনাদের সাথে কথা বলছি সেই মুহূর্তে এদেশে গণতন্ত্র নেই। একইভাবে এই দেশে যতগুলো রাজনৈতিক দল আছে তাদের যে গণতান্ত্রিকি স্পেস সেগুলো ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে।