ইসরাইলের সাথে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজায় এ পর্যন্ত ১৫ হাজার ৫৫৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক এবং অধিকাংশই নারী ও শিশু। হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রোববার (৩ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে। জাতিসঙ্ঘের হিসাবে, গত আট সপ্তাহের যুদ্ধে গাজার ১৭ লাখ বাসিন্দার দুই-তৃতীয়াংশই বাস্তুচ্যুত হয়েছে। জাতিসঙ্ঘের সংস্থাসমূহ বলছে, গাজায় খাবার ও পানির সংকট চলছে। অধিকাংশ বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাপন্থী সংগঠন হামাস দীর্ঘদিনের নির্যাতন-দখলদারিত্বের প্রতিবাদে গত ৭ অক্টোবর আকস্মিকভাবে ইসরাইলে বড় ধরনের হামলা চালায়। এর পাল্টা হিসেবে ইসরাইলও গাজায় পাল্টা নির্বিচারে হামলা শুরু করে। ইসরাইল হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার অঙ্গীকার করেছে। এরই মাঝে উভয়পক্ষে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি চলে। কিন্তু এ যুদ্ধবিরতি নতুন করে আর বাড়ানো সম্ভব হয়নি। ইসরাইল ও হামাস উভয়ে একে অন্যকে দায়ী করছে। যদিও ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতির আগেই বলেছিলেন, চুক্তি হলেও যুদ্ধ চলবে। এদিকে শনিবার তেল আবিবে নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাসকে নির্মূলসহ সব লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে।
গাজা থেকে সরে যাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী!: গাজার উত্তর অংশ থেকে ইসরাইল তার বাহিনী প্রত্যাহার করছে বলে দাবি করেছে গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সামরিক শাখা কাসসাম বিগ্রেড। কাসসাম ব্রিগেড উত্তর গাজায় তাদের অভিযানকে ‘ব্যর্থ’ হিসেবে অভিহিত করেছে। তারা জানায়, উত্তর গাজায় ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর ৭০ ভাগই এখন চলে গেছে।
ইসরাইলি বাহিনী এখনো সবাইকে উত্তর থেকে দক্ষিণে ঠেলে দিচ্ছে। তারা লিফলেট ফেলে বলছে যে তাদের পরবর্তী টার্গেট খান ইউনিস। সেখানেই তাদের পরবর্তী বড় অভিযান হবে।
গাজায় যুদ্ধবিরতি শেষে আবারো ব্যাপক আকারে হামলা শুরু করেছে ইসরাইল। তারা গত এক দিনে সাত শতাধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। গত রোববার গাজার মিডিয়া অফিসের ডিজি কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরাকে এ তথ্য জানিয়েছেন। আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, শেখ রাদওয়ান ও আল-নাসরে ফিলিস্তিনি যোদ্ধা ও ইসরাইলি সেনাবাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ চলছে।
এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি শেষে শুক্রবার আবারো অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে হামলা চালানো শুরু করে। এ হামলায় ২৪ ঘণ্টায় সাত শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। সূত্র : আল জাজিরা