মেক্সিকোর ভেতর দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তের দিকে রওয়ানা দিয়েছে প্রায় আট হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী। এদের বেশিরভাগই ভেনেজুয়েলা, কিউবা ও মেক্সিকোর নাগরিক। ‘পোভারটি এক্সোডাস’ (দারিদ্র্যের কারণে বহির্গমন) লেখা একটি ব্যানার নিয়ে মিছিল করে যুক্তরাষ্ট্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তারা। কয়েকদিন পরেই মেক্সিকো সফরে যাচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। সফরকালে অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে দুই দেশের মধ্যে নতুন চুক্তির চেষ্টা করবেন তিনি। তার আগেই দলবেঁধে যুক্তরাষ্ট্রের পথে রওয়ানা দিয়েছেন এসব অভিবাসনপ্রত্যাশী।
প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকার চেষ্টা করতে গিয়ে দেশটির দক্ষিণ সীমান্তে গ্রেফতার হন বহু মানুষ। ২০২২ ও ২০২৩ উভয় বছরেই এদের সংখ্যা ২০ লাখ ছাড়িয়েছে। অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত পার হওয়ায় কেবল গত সেপ্টেম্বর মাসেই দুই লাখের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীকে গ্রেফতার করেছে মার্কিন বর্ডার প্যাট্রল। বড়দিনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের দিকে রওয়ানা দেওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মিছিলটি যাত্রা শুরু করেছিল মেক্সিকোর তাপাচুলা শহর থেকে।
মিছিলে যোগ দেওয়া এক হন্ডুরান অভিবাসনপ্রত্যাশী জানান, একটি অপরাধী গোষ্ঠীর হুমকির মুখে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে এসেছেন তিনি। জোসে সান্তোস নামে ওই ব্যক্তি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, আমি ভয় পেয়ে মেক্সিকোয় আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আশা করেছিলাম, আমাকে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে।
গত শুক্রবার মেক্সিকান প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদর বলেছেন, অভিবাসন নিয়ে উদ্বেগ মোকাবিলায় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ফের কাজ করতে রাজি। আগামী বুধবার তার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। হোয়াইট হাউজ এক বিবৃতিতে বলেছে, মেক্সিকো সফরকালে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন পশ্চিম গোলার্ধে ‘অভূতপূর্ব অনিয়মিত অভিবাসন’ নিয়ে আলোচনা করবেন এবং দুই দেশ কীভাবে একসঙ্গে সীমান্ত নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারে, তার উপায় চিহ্নিত করবেন। সূত্র: বিবিসি