আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন। তবে নির্বাচনে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী তথা পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। শুধু তাই নয়, ইমরান খানের দলের বেশিরভাগ নেতার মনোনয়নপত্রই বাতিল করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে। সব মিলিয়ে ইমরান খানের দলের ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তোষাখানা দুর্নীতিসহ একাধিক দুর্নীতি মামলায় গত আগস্ট থেকে জেলে রয়েছেন ইমরান খান। সাবেক ক্রিকেট তারকাকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) দোষী সাব্যস্ত হওয়ার কারণে তাকে পদ থেকে অযোগ্য ঘোষণা করেছে।
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ গত সপ্তাহে ইমরান খানের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে। তবে ওই মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেয় নির্বাচন কমিশন। ইমরান খান-সহ পিটিআইয়ের প্রায় সব জাতীয় ও প্রাদেশিক নেতাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
পিটিআইয়ের মুখপাত্র রওফ হাসান বলেন, ‘আমাদের ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।’ তিনি জানান, তাদের দল যেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারে সেই কারণেই তাদের বাধা দিতে একটি অ্যাজেন্ডার অংশ হিসেবে তাদের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তবে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, কোনো অবস্থাতেই পিটিআই রাজনৈতিক মাঠ ছাড়বে না এবং নির্বাচন বয়কট করবে না।
নির্বাচন কমিশনের এক কর্মকর্তাও নিশ্চিত করেছেন, বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে ইমরান খান-সহ তার দলের একাধিক প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
পাকিস্তানের রাজনৈতিক বিশ্লেষক হাসান আসকারি জানান, একটি দলের বিরুদ্ধে এই ধরনের ব্যাপক পদক্ষেপ পাকিস্তানে নজিরবিহীন। তিনি বলেন, ‘দেশের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচনের আগেও এত বড় পরিসরে নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে বাদ পড়েছে।
তিনি জানান, ক্ষমতায় থাকা রাজনৈতিক দল যেকোনোভাবে ইমরান খানের দলকে নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে দূরে রাখতে চায়ছে। আগামী ২৩ জানুয়ারি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা ঘোষণা করার কথা রয়েছে।
পিটিআইয়ের মুখপাত্র হাসান বলেছেন, ‘আমরা নির্বাচনী লড়াই থেকে পিছু হঠব না। প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় এই সমস্ত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদন করব। আমরা সমস্ত সাংবিধানিক, আইনি এবং রাজনৈতিক বিকল্পগুলো ব্যবহার করব।’ সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস