রাজবাড়ীর বিস্তৃর্ণ এলাকায় চাষ হয়েছে সরিষা। ফলে হলুদ ফুলে প্রকৃতি যেন সেজেছে অপরূপ সৌন্দর্য নিয়ে। হলুদ ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিনিয়তই কালুখালীর রতনদিয়ার মুড়ারিখোলা পদ্মার শাখা নদীর পারে আসছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা, কাটাচ্ছেন প্রিয় মুহূর্ত। অনেকে আবার ধারণ করছেন ক্যামেরা বা মোবাইল ফোনে।
এদিকে সরিয়া চাষে খরচের তুলনায় লাভ বেশি হওয়ায় এ বছর বেড়েছে আবাদ। তবে মৌমাছি না থাকায় ফলন কমের আশঙ্কা করছেন চাষিরা। জেলার কালুখালীর রতনদিয়া মুড়ারিখোলা, হরিণবাড়ীয়াসহ প্রতিটি উপজেলার ফসলের মাঠে এখন শোভা পাচ্ছে সরিষা ফুল। খরচের তুলনায় কয়েকগুণ লাভজনক সরিষা চাষ। ফলে দিন দিন বাড়ছে সরিষার আবাদ।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলায় সাড়ে ৬ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও চাষ হয়েছে প্রায় ৬ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে। গত বছর আবাদ হয়েছিল ৫ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে।
ঘুরতে আসা শামীম ও এনামুল বলেন, ‘আমরা প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার না, শখ করে ফটো তুলি। এত সুন্দর দৃশ্য স্মৃতি হিসাবে ধরে রাখতে বন্ধু ও ভাইদের সঙ্গে ছবি তুলতে এসেছি। খুব ভালো লাগছে। ছবিগুলোও সুন্দর হচ্ছে।’
প্রকৃতিপ্রেমী মিন্টু হাসান, তানভীর ও মেহরাব হোসেন বলেন, ‘মাঠজুড়ে সরিষার হলুদ ফুলের দৃশ্য দেখার জন্য এসেছি। অনেক সুন্দর জায়গা। একটি বাঁশের সাঁকো এখনকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে।’
সরিষা চাষি আব্দুর রাজ্জাক খান, সুবল চন্দ্র প্রামাণিক এবং জিন্দার খা বলেন, ‘এখানে অনেক সরিষা হয়। এবার অন্য বছরের চেয়ে একটু খরচ বেশি পড়েছে। ফুলও অনেক দেখা যাচ্ছে। মৌমাছি না থাকায় ফলন ভালো হবে না। সরিষা ফুল দেখতে লোকজন আসে। ঘুরে ঘুরে দেখে আর ছবি তোলে। আমাদের ভালোই লাগে।’
রাজবাড়ী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচারক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘রাজবাড়ীতে সরিষার আবাদ বৃদ্ধির জন্য কাজ করছি। এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলনের আশা করছি। সরিষার রোগবালাইও কম হয়।’