৬০তম মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার (১৫ই ফেব্রুয়ারি) জার্মানি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মিউনিখ বিমানবন্দরে তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। টানা চারবার, মোট পাঁচবারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পর এটা তার প্রথম বিদেশ সফর।
পরে জার্মান তথা ইউরোপের বিভিন্ন শহর থেকে আসা শত শত নেতাকর্মী প্রধানমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা দিয়ে বরণ করে নেন হোটেল ফটকে। জার্মান আওয়ামী লীগের সভাপতি মিজানুর হক খান ও সাধারণ সম্পাদক মোবারক আলী ভূঁইয়া বকুল শুভেচ্ছা জানানোর সময় প্রধানমন্ত্রী তাদের কুশলাদি জিজ্ঞেস করেন এবং তাদের নেতৃত্বে গণতান্ত্রিকভাবে শক্তিশালী আওয়ামী লীগ গড়ার নির্দেশ দেন। এদিকে জার্মান আওয়ামী লীগের আয়োজনে এক গণসংবর্ধনায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর। তবে গণসংবর্ধনাটি শহরের বাইরে হওয়ায় নিরাপত্তার কারণে ভার্চ্যুয়ালি যোগ দিতে পারেন তিনি। এ ছাড়া জার্মান বাংলা প্রেসক্লাবের সঙ্গে মিট দ্য প্রেস হওয়ার কথা রয়েছে। নিরাপত্তা সম্মেলনে শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সমস্যা, আন্তর্জাতিক জলবায়ু পরিবর্তন, যুদ্ধ বন্ধ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা দেবেন বলে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে।
এর আগে ১৫ই ফেব্রুয়ারি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-২০৭ ফ্লাইটে মিউনিখের উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী। ১৬ই ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্স ১৮ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। এতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শীর্ষ নেতারা যোগ দেবেন। মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগদানের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ, ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেট ফ্রেডেরিকসেন ও নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটসহ কয়েকজন সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি বৈঠকের কর্মসূচি রয়েছে। ১৮ই ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী ঢাকার উদ্দেশে জার্মান ত্যাগ করবেন। ১৯শে ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায় তার ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার কথা রয়েছে।