বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, যুদ্ধে কৌশলের অংশ হিসেবে কখনো কখনো পিছু হটতে হয়। কিন্তু পিছু হটা মানেই সবসময় হেরে যাওয়া নয়। এতে হতাশ হওয়ারও কিছু নেই। দ্বাদশ সংসদ বাতিল ও একদফা দাবিতে আন্দোলন চলছে। আন্দোলন ক্রমেই বেগবান হবে।
গতকাল সোমবার (৪ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন ফারুক। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে তৃণমূল নাগরিক আন্দোলন এর উদ্যোগে এ মানববন্ধন হয়।
ফারুক বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনী প্রহসন দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ প্রত্যখ্যান করেছে। সুতরাং এই নির্বাচন ও নতুন সরকার দেশে-বিদেশে কোনো গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। এই সরকারকে বিদায় নিতে হবে। তাই সরকারকে বলবো, জনদাবি মেনে অবিলম্বে পদত্যাগ করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় আন্দোলনের মধ্য দিয়ে জনগণই আপনাদের ক্ষমতা থেকে বিদায় করবে। সেদিন বেশি দূরে নয়।
তিনি বলেন, ভোট চুরি করে ক্ষমতায় আসলেও আপনারা সরকারে আছেন। তাই বলবো, রোজার মাসে অন্তত সিন্ডিকেট বন্ধ করুন। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসুন। সিন্ডিকেট, শেয়ারবাজার কারা লুট করেছে, আপনারা সব জানেন।
ফারুক বলেন, কানাডায় কারা বেগমপাড়া বানিয়েছে, সব তথ্য বিএনপির কাছে আছে। কারা বিদেশে অর্থপাচার করেছে, কারা শেয়ারবাজার লুটপাট করেছে, সব ঘটনার হিসাব-নিকাশ একদিন এই বাংলার মাটিতেই হবে।
কৃষক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক ও তৃণমূল নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি মফিজুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে এবং কৃষক দলের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নাঈমের পরিচালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, কৃষক দলের দপ্তর সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, সহ-বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক মিয়া হাসান, সহ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক নাছির উদ্দিন, কেন্দ্রীয় সদস্য আবুল হোসেন প্রমুখ।