শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১৫ পূর্বাহ্ন

ঈদের আগেই এমভি আব্দুল্লাহর পণবন্দি নাবিকদের মুক্তির আশা

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় সোমবার, ১ এপ্রিল, ২০২৪

বাংলাদেশি পণ্যবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ সোমালি জলদস্যুদের হাতে ২৩ নাবিকসহ পণবন্দি হওয়ার পর মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে দস্যুরা। দস্যুদের সঙ্গে মালিকপক্ষের সমঝোতার আলোচনাও এগিয়েছে। ঈদ-উল-ফিতরের আগেই জাহাজের নাবিকরা মুক্তি পাবেন বলে আশা করছেন জাহাজটির মালিকানা প্রতিষ্ঠান কবির গ্রুপ। এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি কবির গ্রুপের এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন। এই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এমভি আবদুল্লাহ’র ২৩ নাবিক যে কোনো সময় দেশে ফিরছেন। তবে কবে নাগাদ দস্যুদের কবল থেকে তারা মুক্তি পাচ্ছেন সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু জানা যায়নি। দস্যুদের সঙ্গে জাহাজ কর্তৃপক্ষের মুক্তিপণ নিয়ে সমঝোতা হয়েছে, এমন ইঙ্গিতও পাওয়া গেছে।
ওই জাহাজের নাবিকদের মুক্তিপণ হিসেবে দস্যুদের অর্থ দেওয়ার বিষয়ে কিছু জানাতে রাজি হননি মালিকপক্ষের কেউ। তবে কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘জাহাজে পণবন্দি নাবিকরা সুস্থ আছেন। দস্যুদের সঙ্গেও আমাদের আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি ঈদের আগেই যেন পণবন্দি নাবিকদের দেশে ফিরিয়ে আনতে পারি। এ লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।’
কবির গ্রুপের এক কর্মকর্তার বরাতে গণমাধ্যম জানিয়েছে, দস্যুদের কবল থেকে নাবিকদের মুক্ত করতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। পণবন্দিদশা থেকে মুক্তির পর ২৩ নাবিককে আকাশপথে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। জাহাজটিতে নতুন করে ২৩ জনের একটি টিমকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। তারাই কয়লাভর্তি জাহাজটিকে সোমালিয়া থেকে দুবাইয়ে নিয়ে যাবেন। এরই মধ্যে ওই ২৩ জন নাবিকের নতুন টিম প্রস্তুত করা হয়েছে।
এর আগে, ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর আরব সাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল একই প্রতিষ্ঠানের জাহাজ “এমভি জাহান মণি”। ওই জাহাজের ২৫ বাংলাদেশি নাবিকের পাশাপাশি এক ক্যাপ্টেনের স্ত্রীসহ ২৬ জনকে ১০০ দিন পণবন্দি করে রাখা হয়েছিল। পরে মুক্তিপণের বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। সেবার ৩০ লাখ মার্কিন ডলারের বিনিময়ে পণবন্দি নাবিকরা মুক্তি পায় বলে জনশ্রুতি আছে। ওই সময় কেনিয়া হয়ে সোমালিয়ায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল টাকাভর্তি দুটি ব্যাগ। এখন কীভাবে টাকা পৌঁছানো হবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে।
এসআর শিপিং কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে প্রায় ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা আছে। গত ৪ মার্চ আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে এসব কয়লা নিয়ে যাত্রা শুরু করে জাহাজটি। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল। এর মধ্যে ১২ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে ভারত মহাসাগরের জলদস্যুর কবলে পড়ে জাহাজটি। ভাড়ার বিনিময়ে মোজাম্বিক থেকে দুবাইয়ের আমদানিকারকের কাছে কয়লা পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর।
এই প্রতিষ্ঠানটির অধীনে মোট ২৪টি জাহাজের মধ্যে সর্বশেষ যুক্ত হয় এমভি আবদুল্লাহ। ২০১৬ সালে তৈরি এই বাল্ক ক্যারিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। ড্রাফট ১১ মিটারের কিছু বেশি। গত বছর জাহাজটি এসআর শিপিং কিনে নেওয়ার আগে এটির নাম ছিল “গোল্ডেন হক”। মালিকানা পরিবর্তনের পর জাহাজের নামও পরিবর্তন করা হয়।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com