রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
খেলাধুলার মাধ্যমে মাদককে সমাজ থেকে বিতাড়িত করতে হবে-মাফরুজা সুলতানা মাইলস্টোন কলেজে নবম শ্রেণির বালিকাদের অংশগ্রহণে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত বিদেশি প্রভুদের নিয়ে বিতাড়িত স্বৈরাচার ষড়যন্ত্র করেই যাচ্ছে: তারেক রহমান সরাসরি ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সুপারিশ  ‘বিবেচনায় রয়েছে’: বদিউল আলম ১৬ বছর বঞ্চিতদের এবার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বইমেলয় স্টল বরাদ্দের দাবি ইসির অগাধ ক্ষমতা থাকলেও প্রয়োগে সমস্যা ছিল: বদিউল আলম আমাদের শিক্ষা কর্মসংস্থান খোঁজার মানুষ তৈরি করছে, যা ত্রুটিপূর্ণ: প্রধান উপদেষ্টা সেন্টমার্টিন: ‘স্থানীয়দের জীবিকা বনাম পরিবেশ রক্ষা’ আ. লীগ-জাপা নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাবিতে কফিন মিছিল ১৫ বছরের জঞ্জাল সাফ করতে সময় লাগবে: মির্জা ফখরুল

নেই ডাক্তারী সনদ, ভুল চিকিৎসায় খামারী ক্ষতিগ্রস্ত কালীগঞ্জে সিজার করে নেই গাভীর পেটে বাচ্চা!

তৈয়বুর রহমান কালীগঞ্জ
  • আপডেট সময় সোমবার, ১ এপ্রিল, ২০২৪

গাজীপুরের কালীগঞ্জে গাভীর পেটে বাচ্চা থাকার কথা বলে সিজার করে পাওয়া যায়নি বাচ্চা। গাভীর পেটে বাচ্চা থাকার কাথা বলে চিকিৎসা দিয়ে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এ.আই টেকনেশিয়ান হাবিবুল্লা। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সন্ধ্যায় উপজেলার জাংগালিয়া ইউনিয়নের বাড়িয়াদী গ্রামের ছফরউদ্দিনের ছেলে মজিবুর রহমানের বাড়িতে। ভোক্তভোগী মজিবুর রহমান বলেন, গত সোমবার আমার গাভীটি হটাৎ করে পড়ে পায়ে আঘাত প্রাপ্ত হয়। আমি এ.আই.টেকনেশিয়ান হাবিবুল্লার স্মরণাপর্ন হইলে সে প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে বলে, আমার গাভীর পেটে বাচ্চা আছে। বাচ্চার বয়স আনুমানিক ৯ মাস এবং বাচ্চা সুস্থ আছে। গাভী সিজার করে বাচ্চা বাহির করতে হবে পরামর্শ দেন হাবিবুল্লা। তার কথামত আমি গাভীটি সিরাজ করার ব্যবস্থা করি। পরে হাবিবুল্লা গাভীটি সিজার করে গাভীর পেটে কোন বাচ্চা পায়নি। সে প্রতারণা করে গাভীর পেটে বাচ্চা থাকার কথা বলে কয়েকবারে আমার নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। গাভীটির আনুমানিক মূল্য ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। এলাকার কয়েজন খামারী বলেন- সিজার করার সময় গাভীর পেটের ভিতর হাত দিয়ে হাবিবুল্লা বলেন বাচ্চাটি মারা গেছে। কিন্তু গাভীর পেটের ভিতর থেকে পরে কোন বাচ্চাই পাওয়া যায়নি। সে ভুল চিকিৎসা দিয়ে মজিবুরকে আর্থিক ক্ষতির মুখে ফেলে দিয়েছেন। এ.আই টেকনেশিয়ান হাবিবুল্লা গাভীর পেটে বাচ্চা থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, কালীগঞ্জ উপজেলা পশু হাসপাতালের সাবেক ডাঃ কামরুল ইসলামের পেসকিপসন অনুযায়ী গাভীর চিকিৎস প্রধান করি। রবিবার বিকেলে কামরুল ইসলাম স্যার আমাকে গাভীর সিজার করার জন্য পাঠিয়েছেন। বেলাব পশু হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ কামরুল ইসলাম হাবিবুল্লাকে গাভী সিজার করতে পাঠানোর বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, পেটে বাচ্চা আছে এই পরীক্ষা আমরা করি নাই। একজন ডাক্তার দিয়ে সিজার করালে ১০ হাজার টাকা খরচ পরতো। যেহেুতু গাভীটি আর দাঁড়াবে না। তাই খামারীর খরচের কথা বিবেচনা করে এআই টেকনেশিয়ান হাবিবুল্লাকে গাভী সিজার করাতে পাঠানো হয়েছে। কালীগঞ্জ উপজেলা পশু হাসপাতালের ডাঃ মোঃ ইউসুফ হাবিব বলেন, একজন এআই টেকনেশিয়ানের গাভী সিজার করার অনুমতি নেই। সে সিজার করে অপরাধ করেছেন। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com