দৈনিক ভোরের কাগজের যুগ্ম বার্তা সম্পাদক আতিকুর রহমান হাবিব মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। গতকাল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ভোর ৫টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্স অ্যান্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত ছিলেন।
এদিন বাদ জোহর ভোরের কাগজ কার্যালয়, জাতীয় প্রেস ক্লাব ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আতিকুর রহমানের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় তার কফিনে ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানায় ভোরের কাগজ পরিবার এবং বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতা ও সদস্যরা। পরে তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে দাফন করা হবে।
মৃত্যুকাল তিনি স্ত্রী ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন সাংবাদিক আতিক। সাংবাদিক আতিকুর রহমান ১৯৭৬ সালের ১২ নভেম্বর টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল থানার কদমতলী ইউনিয়নের গারাট্টা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা প্রয়াত মোহাম্মদ আবু তালেব। চার ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়।
ভোরের কাগজ সূত্রে জানা যায়, ব্রেন টিউমারের সমস্যা নিয়ে গত ১২ এপ্রিল রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্স অ্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন আতিকুর রহমান। গত ১৫ এপ্রিল তার মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। সর্বশেষ হাসপাতালটির পোস্ট অপারেটিভ ইউনিটে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে ছিলেন তিনি। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
সাংবাদিক আতিকুর রহমান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) পড়ার সময় ১৯৯৬ সালে দৈনিক আল-আমিন পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে তার সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি। ১৯৯৭ সালে দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান করেন।
একই বছর সাপ্তাহিক অন্বেষা পত্রিকায় স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ শুরু করেন সাংবাদিক আতিকুর রহমান। ২০০১ সালে মানবজমিনে স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে যোগ দেন। ২০০৫ সালে পদোন্নতি পেয়ে সিনিয়র রিপোর্টার হন। ২০০৬ সালে সান্ধ্য দৈনিক দিনেরশেষে পত্রিকায় যোগ দিয়ে ডেপুটি চিফ রিপোর্টার হন। পরবর্তী সময়ে চিফ রিপোর্টার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। এরপর কিছুদিন চিফ রিপোর্টার হিসেবে দৈনিক আজকালের খবর পত্রিকায় কর্মরত ছিলেন তিনি। ২০১৫ সালে যোগ দেন দৈনিক ভোরের কাগজে। সর্বশেষ যুগ্ম বার্তা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
আতিকুর রহমান হাবিব ২০০৩ সালে বাংলাদেশ কালচারাল রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের বেস্ট কালচারাল রিপোর্টার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন।