মৌলভীবাজারের জুড়ীতে ৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকায় ৩০ শতক একটি টিলাবাড়ি ক্রয় করে মালিকের প্রতারণার শিকার কৃষক শাসন মিয়া(৪৪)। তিনি টিলাবাড়িটি ক্রয় করার পর হতে প্রায় দের বছর অতীত হলেও টিলার মালিক ফিরুজ আলী তাকে সেই টিলাবাড়িটি সমজিয়ে দেননি। যার ফলে, ভুক্তভোগী শাসন ওই ভূমিটি উপভোগ করতে পারছেনা। দীর্ঘদিন যাবত কয়েকবার অত্রাঞ্চলের স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার, গ্রাম্য শালিসসহ বিভিন্ন দ্বারে দ্বারে ঘৃরেও কোনো সমাধানে পৌঁছতে পারেনি শাসন। এর প্রতিকার চেয়ে শাসন মিয়া গত (২৮/৪/২০২৪)ইং রোববার জুড়ী প্রেসক্লাব ও বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি জুড়ী উপজেলা ইউনিট সভাপতি সম্পাদক বরাবর ফিরুজ আলী ও তার স্ত্রী সিরাজুন নেছার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গেছে, বিগত ৩১ অক্টোবর ২০২২ ইং তারিখে জুড়ী উপজেলা সদর জায়ফরনগর ইউনিয়নের নয়াগ্রামের বাসিন্দা মরহু আব্দুল কাদিরের পুত্র শাসন মিয়া(৪৪) একই উপজেলার গোয়ালবাড়ি ইউনিয়নের পশ্চিম কচুরগুল গ্রামের বাসিন্দা ফিরুজ আলী ওরফে ফিরুজ মেম্বার নামে পরিচিত এর স্ত্রী সিরাজুন নেছা(৬০) নামীয় ৩০ শতক টিরাবাড়ি ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা মূল্যে ফিরুজ মেম্বার থেকে ক্রয় করে। ক্রয়ের বেশ কিছুদিন পর ফিরুজ আলী সে ভূমিটি শাসনকে দলিল করে দেন। যার মৌজা কচুরগুল, জে এল নং- ৩৯, খতিয়ান নং- ৬৫। কিন্তু শাসন সেই ভূমিটি অদ্যাবাধি ভোগ করতে পারছেনা। কারণ শাসন দলিল পাওয়ায় পর টিলাবাড়িতে সীমানা খুটি বসাতে গেলে ফিরুজ আলীর পার্শবর্তী প্রতিবেশী জনৈক ব্যাক্তি সেই জায়গার ওপর আপত্তি প্রদান করে এবং খুটি উপরিয়ে ফেলে। পরে ভুক্তভোগী শাসন আপত্তির বিরুদ্ধে ফিরুজকে জানালে, তিনি এব্যাপারে কোন কর্ণপাত না করে শাসনকে ভূমিটি সমজিয়ে না দিয়ে কালক্ষেপন করে যাচ্ছেন। এভাবে তিনি আজ দেবেন, কাল দেবেন বলে দের বছরাধিকাল ঘুরাচ্ছেন শাসনকে। ভুক্তভোগী শাসন দুঃখের সাথে আরো বলেন ওই টিলাবাড়ি হতে অদ্যাবাধি কোন কিছু ভোগ করতে পারছিনা আমি ফিরুজ আলীর ২য় পুত্র নূরুল আমিন ওই ভূমির ফল ফলাদি যেমন আধাজামির জাম্বুরা, কাঠাল, লেবুসহ অন্যান্য ফল জোর পূর্বক পেড়ে নিয়ে যায়। শাসন তাতে আপত্তি জানালে, তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় নূরুল আমিন। জানতে চাইলে, ভুক্তভোগী শাসন মিয়া বলেন, আমি গরিব মানুষ। প্রবাস থেকে ফিরে আমার যা টাকা পয়সাছিল তা দিয়ে টিলাবাড়িটি কিনি ফিরুজ আলী আমাকে বিভিন্ন প্রলোভনদিয়ে আমার কাছে টিলাবাড়িটি বিক্রিকরে। বর্তমানে ভূমিটি ৯/১০ লাখ টাকা মূল্যে বিক্রি করা যাবে। বিধায় ভূমিটির ওপর ফিরুজ আলীর লোলুপদৃষ্টি পড়ে। এজন্য জায়গাটি সমজিয়ে দিতে টালবাহানা করছে। এ ব্যাপারে শাসন ক্ষতিপূরণসহ ওই ভূমিটি উদ্ধারে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগসহ মানবাধিকার সংস্থার সহযোগিতা কামনা করছে। সরেজমিনে গিয়ে এলাকায় ঘুরে বিভিন্ন জনের সাথে কথা হলে, তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ফিরুজ আলী এলাকার একজন প্রতারক। সে এলাকার বহু নিরীহ মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে ঠকিয়েছে। এখন শাসনকে ঠকাচ্ছে। তারা আরো বলেন, ফিরুজের প্রতিবেশী জনৈক ব্যাক্তির পৈত্রিক সম্পত্তি কেটে নিয়ে জাল দলিলের মাধ্যমে ৩০ শতক টিলাবাড়ি তার স্ত্রী সিরাজুন নেছার নামে দেখিয়ে শাসনের কাছে বিক্রি করে। এ ব্যাপারে মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে ফিরুজ আলীর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।