পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেন দেরিতে যাত্রা করায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে যাত্রীদের। সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে ট্রেন ছাড়ার কথা থাকলেও ছয় ঘণ্টা বিলম্বে ঢাকার উদ্দেশে রাজশাহী ছেড়েছে আন্তঃনগর ট্রেনটি।
গতকাল শনিবার (৪ মে) সকালে যাত্রা শুরুর মাত্র কয়েক মিনিট আগে জানানো হয় ট্রেনটি কিছুটা বিলম্বে রাজশাহী ছেড়ে যাবে। কিন্তু ছয় ঘণ্টা বিলম্বে ৭টা ৪০ মিনিটের ট্রেন ছেড়ে গেছে দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে।
জানা যায়, ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ এমন বিলম্ব হওয়ায় ভোগান্তির শিকার হন যাত্রীরা। বিশেষ করে জরুরি কাজে যাওয়া যাত্রীরা পড়েন চরম দুর্ভোগে। এছাড়াও রোগী বা শিশুসহ ভ্রমণকারীদের পোহাতে হয়েছে নানা দুর্ভোগ। সাধারণত ছোটখাটো সমস্যার কারণে ৫-১০ মিনিট লেট হতে পারে। কিন্তু সেখানে প্রায় ছয় ঘণ্টা দেরিতে ছাড়ে ট্রেনটি। রফিকুল ইসলাম নামের এক যাত্রী বলেন, এ ট্রেন প্রায়ই ছেড়ে যেতে ৫-১০ মিনিট দেরি হয়। তবে মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। এখন মাঝপথে দেরি না হলেই হয়।
আরেক যাত্রী শাহাদাত হোসেন বলেন, ট্রেন ভ্রমণ নিরাপদ ও আনন্দের হিসেবেই সবাই জানে। আর আমরাও সেজন্য ট্রেনেই ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। কিন্তু মাঝে মাঝে ট্রেন ভ্রমণ চরম ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ছয় ঘণ্টা বিলম্বে যাত্রা শুরু হলে তা যাত্রীদের জন্য অসহনীয় পর্যায়ে যায়। আবার যারা এই ট্রেনে যারা ফিরবে তাদেরই বা কি অবস্থা হবে ভাবা মুশকিল। বিশেষ করে বয়স্ক বা শিশুদের নিয়ে যারা ভ্রমণ করে তাদের অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার আব্দুল করিম জাগো নিউজকে বলেন, বাজে অবস্থায় আছি। গাজীপুরের দুর্ঘটনার কারণেই শিডিউল বিপর্যয়ে পড়েছে। ৭টা ৪০ মিনিটের ট্রেন ১টা ৪৫ মিনিটে ছেড়েছে। এছাড়াও বনলতা এক্সপ্রেস পৌনে দুই ঘণ্টা বিলম্বে গেছে, পদ্মা এক্সপ্রেসও তিন ঘণ্টা বিলম্ব হতে পারে, আর ধূমকেতু এক্সপ্রেসের কথা বলা যাচ্ছে না এখনও। আগামীকালের মধ্যে শিডিউল ঠিক হতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার বলেন, ওই দুর্ঘটনার কারণে সব এলোমেলো হয়ে গেছে। ট্রেনের ছুটিগুলো না আসলে শিডিউল ঠিক হবে না। আর বঙ্গবন্ধু সেতুর কারণে অনেক লেট হয়ে যাচ্ছে। যেখানে আগে তিনটা গাড়ি রাখতে পারতাম সেখানে এখন একটা গাড়ি রাখতে পারি। আরেকটা লাইন দিয়ে একটা গাড়ি ছাড়তে হয়। আগামী তিন মাসের মধ্যে এটার সমাধান হবে না।
তিনি আরও বলেন, আজকে আমি সিল্কসিটি বাতিল করতে চেয়েছিলাম, এক হাজার টিকিটের মধ্যে ৪০০-৫০০ রিফান্ড করে ফেলেছে। কিন্তু ঢাকা থেকে ফিরতি টিকিট কেউ রিফান্ড করছে না, সেজন্য ট্রেন ছাড়া হয়েছে।