বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন সম্পন্ন হলেও ফের আইনি জটিলতায় পড়েছে সংগঠনটি। নির্বাচনের ২৬ দিন পর অনিয়মের অভিযোগে আদালতে রিট করেছেন পরাজিত প্রার্থী নিপুণ আক্তার। বিষয়টি নিয়ে চলচ্চিত্র অঙ্গনের অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে গুণী নির্মাতা দেলোয়ার জাহান ঝন্টু বলেন, ‘শিল্পী সমিতিতে ডিপজল সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করলে সুন্দর ভাবে দুটি বছর চলবে। ডিপজল যেন এখানে না থাকতে পারে সেই ষড়যন্ত্র হয়েছে। এই জিনিসটা আমার দৃষ্টিতে শুভ না। ওর সম্মান ও অর্থ সব কিছুই আছে। সে এখানে থাকলে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির উন্নয়নের কথাই ভাববে। সে পাশ করেছে, নিপুণ গিয়ে কেস করেছে। আমার মনে হয় সে এটা না করলেও পারত।’
ডিপজল দুই নাম্বারি করে নির্বাচন করে নাই উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘যতদূর জানি ডিপজল দুই নাম্বারি করে নির্বাচন করে নাই। আদালত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। তবে আমার মনে হয় না কিছু পাবে। এই রিট করার মানে হয় না। নিপুণ মালা পড়িয়ে বড় মনের পরিচয় দিয়েছিল। দেখে ভালো লেগেছে। এখন ওর বিপক্ষে সমালোচনাই বেশি হবে।’
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ডিপজলকে ‘অশিক্ষিত’ বলে কটাক্ষ করেছেন নিপুণ। এ প্রসঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দল বিজেপির নেতা নরেন্দ্র মোদির উদাহরণ টেনে গুণী এই নির্মাতা বলেন, ‘আমাদের ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা কতটুকু? ভারতে এরকম অনেক এমপি আছে। আমাদের এখানেও খুঁজলে বের হবে। লেখাপড়া করলেই যে রাজনীতিতে ভুল করবে না সেটা না। ভোটাররা তাকে ভালোবেসে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। ও (নিপুণ) ডিপজলকে ছোট করবে কেন? সে (ডিপজল) ছোট না। লেখাপড়া জানার থেকেও ভালো ভালো কথা বলে। গঠনমূলক কথা বলে।’ ডিপজল সারা দেশে একটা পরিচিত নাম। ডিপজলের বিরুদ্ধে যে কথাটা বলেছে সেটা তার বলা অপরাধ হয়েছে বলে আমি মনে করি। আমি শব্দটা উচ্চারণ করলাম না। ডিপজলের সম্মানহানি করার তার (নিপুণের) কোনো অধিকার নেই। আমি নিপুণকে নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছি। তাকে আমি শিল্পী হিসেবে পছন্দ করি। আর ডিপজলকে অত্যন্ত সম্মানের চোখে দেখি। সে মানুষের জন্য এগিয়ে আসে, উপকার করে। তার তুলনা হয় না।’ উল্লেখ্য নিপুণের রিটের প্রেক্ষিতে সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদটিতে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন আদালত।