ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার (২১ মে) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এ নিয়ে ধারাবাহিকভাবে সপ্তম কার্যদিবসে পুঁজিবাজারে সূচকের পতন ঘটেছে। এদিন দুই স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক তিন বছরের আগের অস্থানে নেমে এসেছে। তবে, আগের কার্যদিবসের চেয়ে ডিএসই ও সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন বেড়েছে। এদিন উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম কমেছে। ডিএসই ও সিএসইর ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ২২.৫৫ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৩৭১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এর আগে ২০২১ সালের ১৯ এপ্রিলে মাসে ডিএসইএক্স সূচক ৫ হাজার ৩৪৯ পয়েন্টের ঘরে অবস্থান করছিল। ডিএসই শরিয়া সূচক ৬.১৯ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৭৪ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৮.৯৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯২৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। তবে, সকাল থেকে উভয় পুঁজিবাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন শুরু হয়। প্রায় তিন ঘণ্টা সূচক ছিল ঊর্ধ্বমুখী। তবে, দুপুর ১টা ১৯ মিনিটের পর থেকে পুঁজিবাজার পতনমুখী হতে থাকে। দিন শেষে পতনমুখী প্রবণতা থেকে বেড়িয়ে আসতে পারেনি পুঁজিবাজার।
ডিএসইতে মোট ৩৯৩টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ১০২টি কোম্পানির, কমেছে ২৩৫টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬টির।
ডিএসইতে এদিন মোট ৫৯১ কোটি ৬২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৫৬১ কোটি ২১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক ৩১.৭৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৯ হাজার ৩৬১ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪৬.৮২ কমে ১৫ হাজার ৫৫৮ পয়েন্টে, শরিয়া সূচক ৩.০৮ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৫ পয়েন্টে এবং সিএসই৩০ সূচক ৭৩.৬৮ পয়েন্ট কমে ১১ হাজার ৯২৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এদিন সিএসইতে ২৪১টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৭২টি কোম্পানির, কমেছে ১৪১টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৯টির। দিন শেষে সিএসইতে ৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৭ কোটি ১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।