আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পবিত্র কুরআনের সূরা তাওবায় ইরশাদ করেন- ‘ইন্নামা ইয়ামুরু মাছাজিদালরাহি মান আমানা বিল্লাহি ওয়াল ইয়াওমিল আখিরি ওয়া আক্বামাস ছলাতা ওয়া আতায্যাকাতা ওয়ালাম ইয়াখশা ইল্লাল্লাহু ফাআছা ওলাইকা ইয়াকুনু মিনাল মুহতাদিন।’
অর্থ- নিঃসন্দেহে তারাই আল্লাহর মসজিদ আবাদ করবে যারা আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান এনেছে এবং প্রতিষ্ঠা করেছে নামাজ ও প্রদান করেছে জাকাত আর আল্লাহ ছাড়া আর কাউকে ভয় করে না, সুতরাং আশা করা যায় যে তারা হেদায়েতপ্রাপ্তদের অন্তর্গত হবে।
সূরা তাওবার ১৮ নং আয়াত দ্বারা মসজিদ নির্মাণ এবং সর্বোপরি এর আবাদ করার যোগ্যতা ও গুণাবলি স্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে। (তাবরানি) থেকে বর্ণিত এক হাদিসে রাসূলুল্লাহ সা: উল্লেখ করেছেন, ‘মসজিদে আগমনকারী আল্লাহর জিয়ারতকারী মেহমান আর মেজবানের কর্তব্যই হলো মেহমানের সম্মান করা। তিনি আরো জানান, ‘সকাল-সন্ধ্যা যে ব্যক্তি মসজিদে উপস্থিত হয় আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি মাকাম (বাড়ি) বানান।’ মসজিদ নির্মাণকারীর জন্যও অনুরূপ প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহিহ হাদিস রয়েছে। তিরমিজি ও ইবনে মাজাহ শরিফে (হাদিস নং-৮০২) রাসূল সা: মুসলমানদের নির্দেশ দিয়ে গেছেন, যে ব্যক্তিকে তোমরা মসজিদে উপস্থিত হতে দেখবে, তোমরা তার ঈমানদার হওয়ার সাক্ষ্য দেবে, প্রসঙ্গক্রমে এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, মসজিদের উদ্দেশ্যবহির্ভূত কর্মকা- হতে মসজিদকে হিফাজত করা মসজিদ আবাদ করারই শামিল, মাজহারিতে মসজিদের উদ্দেশ্যবহির্ভূত কাজ হিসেবে মসজিদে দুনিয়াবি আলোচনা হৈ হল্লা করা, বেচাকেনা ভিক্ষাবৃত্তি এমনকি হারানো বস্তুও সন্ধান বা প্রাপ্তির প্রভৃতিতে চিহ্নিত করা হয়েছে। কাজী পানিপথী রহ:-সহ যুগের বুজুর্গানে দ্বীন মসজিদ অপব্যবহার নিয়ে সর্বদাই কঠোর ছিলেন, এমনকি কেন মসজিদ থেকে এহেন ঘোষণা দেয়া জায়েজ নয় যে অমুক ব্যক্তির জানাজা অমুক মসজিদে অমুক সময়ে হবে (মুসলিম শরিফে) আছে হজরত ওমর রা: একবার মসজিদে নববীতে একজনকে অপরজনের সাথে দুনিয়াবি কথা বলতে দেখে হজরত আলী রা:-কে ইশারায় তাদের নিবৃত্ত করতে নির্দেশ দেন তবুও মুখে কোনো উচ্চারণ করেননি। এভাবে তারা মসজিদের আবাদ করতেন উল্লিখিত আয়াতের মূল দাবিও তাই। লেখক : প্রতিষ্ঠাতা, কুমিল্লা জিলা মাদরাসা খতিব ও টিভি উপস্থাপক