নেত্রকোনার কলমাকান্দা সরকারি গোপাটের ওপর থাকা ৭-৮ টি বড় আকারের রেন্ট্রি গাছ নির্বিচারে কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় পাঁচ ব্যক্তির বিরুদ্ধে।এ ঘটনায় ব্যবস্থা নিতে এলাকাবাসীর পক্ষে আজ সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শরাফ উদ্দিন খাঁন। উপজেলার পোগলা ইউনিয়নের মঙ্গলসিদ গ্রামের একটি সরকারি গোপাটের ওপর থেকে এসব গাছ কাটা হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযুক্ত পাঁচ জন হলেন, উপজেলার মঙ্গলসিদ গ্রামের মো.রোজ আলী, রকি মিয়া, আবুল হোসেন, খোকন মিয়া ও সোহাগ। লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলসিদ গ্রামের রোজ আলীর বাড়ির সামনে থাকা সরকারি গোপাটের ওপর অনেকগুলো বড় বড় রেন্ট্রি গাছ রয়েছে। রোজ আলীসহ অন্যরা প্রায় সময় গোপাটের ওইসব গাছ কেটে নিয়ে যান। কিছুদিন আগে তারা সেখান থেকে ৭-৮টি বড় আকারের রেন্ট্রি গাছ কেটে নিয়েছেন। গাছগুলো ভাগ ভাটোয়ারা করে নিয়ে কিছু বিক্রি করেছেন আর কিছু অংশ তাদের ব্যবহারে জন্য রেখেছেন। এদিকে গাছ কাটার প্রমাণ লোপাট করতে অধিকাংশ গাছের গোড়া তুলে ফেলেছেন। তবে কয়েকটি গাছের গোড়া এখনো রয়ে গেছে। কেটে নেওয়া গাছগুলোর মূল্য আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা হবে বলে জানা গেছে। ওই গোপাটে রেন্ট্রি গাছ ছাড়াও আরো অনেক ধরণের গাছ রয়েছে। সেগুলো কেটে নেওয়ারও পাঁয়তারা করছে। অভিযোগকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শরাফ উদ্দিন খাঁন বলেন, এলাকার সরকারি গোপাট থেকে অভিযুক্তদের গাছ কাটতে বেশ কয়েক বার নিষেধ করা হয়। তারা আমাদের কোন কথা কর্নপাত করেনি। ইতিমধ্যে ৭/৮ টি বড় বড় রেন্ট্রি গাছ কেটে নিয়েছে। ওই গোপাটে রেন্ট্রি গাছ ছাড়াও আরো অনেক ধরণের গাছ রয়েছে। সেগুলো কেটে নেওয়ারও পাঁয়তারা করছে। বিষয়টি তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছি। এবিষয়ে জানতে অভিযুক্ত খোকন মিয়ার বাবা মোফাজ্জল হোসেন বলেন, গোপাটের পাশে আমরা গাছ লাগিয়েছি। তাই আমার ভাই রোজ আলীসহ আমরা কয়েকটি গাছ কেটে নিয়েছি। গ্রামের রাস্তার পাশে অনেক গাছই তো অনেকে কেটে নিয়েছে। এ বিষয়ে অনুমতি নিতে হয় এটা আমাদের জানা ছিল না। এখন থেকে আমরা আর গোপাটের কোন গাছ কাটবো না। কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসাদুজ্জামান বলেন, গাছ কাটার বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।