পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে পোনা মাছের উৎপাদন ও সরবরাহ বেড়েছে। অল্প সময়ে লাভ বেশি হওয়ায় অনেকেই বড় মাছ চাষ না করে পোনা মাছ চাষ শুরু করেছেন। সফল পোনা মাছ চাষী হচ্ছেন অশোক কুমার রায় (চিনু মাস্টার)। তিনি বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হয়েও এলাকায় মাছের পোনা চাষী হিসেবে পরিচিত লাভ করেছেন। অশোক কুমার রায় এ প্রতিবেদককে জানান ২০২৩ সালের শুরুতে শার্প সংস্থার মৎস্য কর্মকর্তা রবিউল আলম এর পরামর্শ ও সহযোগিতায় মাছের পোনা চাষ শুরু করেন।
গত বছর দেড় কেজি কার্প জাতীয় মিশ্র মাছের রেনু মজুদ করে প্রায় ২০ মন বিভিন্ন আকারের পোনা বিক্রি করে। বর্তমানে মজুদ আছে ৪০-৪৫ মন, যার বাজার মূল্য প্রায় ২৮ থেকে ৩৫ লক্ষ টাকা। একই বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক ও মমিনুল ইসলাম বলেন- পোনা মাছ বৃদ্ধি ভালো হওয়ায় কারণে আমরাও ওনার কাজ থেকে পোনা মাছ ক্রয় করে মাছ চাষে জন্য পুকুরে পোনা মজুদ করেছি। আসলে অল্প সময়ে বেশি লাভের জন্য মাছের পোনা চাষ করাই উত্তম। সেলফ-হেল্প অ্যান্ড রিহেবিলিটেশন প্রোগ্রামের (শার্প) এর মৎস্য কর্মকর্তা রবিউল আলম জানান- শার্প ২০১৩-১৪ অর্থ বছর থেকে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) এর আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় সমন্বিত কৃষি ইউনিট (মৎস্য খাত) তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন শাখায় কারিগরি ও ঋণ সহায়তার মাধ্যমে মাছ চাষের টেকসই বিভিন্ন প্রযুক্তির সম্প্রসারণ করে আসছে। অশোক কুমার রায় শিক্ষক হওয়া সত্ত্বেও এলাকায় পোনা চাষী হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে। দেবীগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রতন কুমার বর্মন এ প্রতিবেদককে জানান-দেবীগঞ্জ উপজেলায় বিভিন্ন মৌসুমী পুকুরে মাছের পোনা চাষ করার বিষয়ে পরামর্শ প্রদান অব্যাহত রয়েছে, পাশাপাশি শার্প এনজিও কাজ করছে এবং পোনা মাছ চাষ করে অনেকে সাবলম্বী হয়েছেন।