চলছে পাকা আমের মৌসুম। এখনই সময় মন ভরে আম খাওয়ার। তবে দীর্ঘদিন যদি আম খাওয়া যেত কিংবা আমের মৌসুম যদি আরও কিছুদিন থাকতো, এই ভেবে অনেকেই আফসোস করেন! তাদের অনেকে আবার দীর্ঘদিন আম খাওয়ার লোভে তা ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখেন। তবে দীর্ঘদিন ফ্রিজে আম হিমায়িতকরণ অবস্থায় রাখলে একটা নির্দিষ্ট সময় পর তা আর খাওয়ার যোগ্য নাও থাকতে পারে। তাই আম সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সবারই সতর্ক থাকা উচিত।
আম সংরক্ষণ করবেন কীভাবে? আম সবচেয়ে দ্রুত নষ্ট হয়ে যাওয়া ফলগুলোর মধ্যে একটি। তাই আপনি যদি আম দীর্ঘসময়ের জন্য সংরক্ষণ করতে চান তাহলে তা করতে হবে সঠিক নিয়ম মেনে। আম ঘরের তাপমাত্রা ও রেফ্রিজারেটরে উভয় অবস্থাতেই সংরক্ষণ করা যায়। তবে এর সব পুষ্টিগুণ বজায় রেখে সংরক্ষণ করা কিন্তু কঠিন কাজ। দীর্ঘদিন ঘরের তাপমাত্রায় রাখলে আম পচতে শুরু করে। এমনকি এর স্বাদ মিষ্টি থেকে টক বা তেঁতো হতে পারে। কখনো কখনো আবার আমের ত্বক ভালো থাকলেও তা ভেতরে নষ্ট হয়ে যেত পারে। এমন অবস্থায় আম কাটলে দেখবেন ভেতরের অংশ কালো হয়ে যাচ্ছে। এমন আম অবিলম্বে ফেলে দিতে হবে।
ঘরের তাপমাত্রায় আম সংরক্ষণের চেয়ে সবচেয়ে কার্যকরী পদ্ধতি হলো রেফ্রিজারেটরে তা রাখা। এতে করে বেশিদিন তা পচনের হাত থেকে রক্ষা করতে পারবেন। অর্থাৎ ফ্রিজে রেখে আপনি দীর্ঘদিন আম সংরক্ষণ করে খেতে পারবেন।
ফিজে আম সংরক্ষণের নিয়ম কী?
আম পুরোপুরি পাকা ও খাওয়ার জন্য প্রস্তুত না হওয়া পর্যন্ত ঘরের তাপমাত্রায় রাখুন। তারপর পাকা আমগুলো টুকরো বা ছোট কিউব করে কেটে নিন। এবার একটি জিপ লক ব্যাগে টুকরো করা আমগুলো নিয়ে রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করুন। জিপ লক ব্যাগে আমগুলো রাখার পর ব্যাগ থেকে হাওয়ার বের করে নিতে হবে। ফ্রিজের একটি ফাঁকা স্থানে আম সংরক্ষণ করুন। এর উপরে অন্য কিছু রাখবেন না। খেয়াল রাখুন তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম রাখতে। আমের সর্বোত্তম গুণমান বজায় রাখতে হলে এই তাপমাত্রায় তা সংরক্ষণ করতে হবে। এই নিয়ম মেনে আপনি ৬ মাস পর্যন্ত হিমায়িত আম সংরক্ষণ করতে পারেন। সূত্র: অল রেসিপি’স/ম্যাংগো.নেট