শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কারের আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা জি এম কাদের তাঁদের ‘বীর মুক্তিসেনা’ বলে অভিহিত করেছেন। কোটাপদ্ধতিকে একটি সুবিধাভোগী গোষ্ঠী তৈরির প্রক্রিয়ার অংশ বলে মন্তব্য করেন জি এম কাদের।
গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জি এম কাদের বলেন, ‘বর্তমান শাসকশ্রেণি, সরকারসৃষ্ট এই সুবিধাভোগী গোষ্ঠীর মাধ্যমে দেশের জনগণকে শাসন–শোষণ করে চলেছেন। সামনের দিনগুলোতেও এ উদ্দেশ্য আরও ব্যাপকভাবে বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। কোমলমতি তরুণসমাজ এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। সেই কারণে আমি তাদের বৈষম্যমুক্তির এ সংগ্রামের বীর যোদ্ধা বা বীর মুক্তিসেনা বলে মনে করছি।’ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘ছাত্রছাত্রীদের অহিংস কোটা সংস্কারের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করছি। এই যৌক্তিক আন্দোলনে সশস্ত্র বাধাদানের ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছি। কোটা সংস্কারের আন্দোলনে নেতৃত্ব দানকারী তরুণদের প্রতি আমার অভিনন্দন। তাদের আমি “বীর মুক্তিসেনা” হিসেবে অভিহিত করতে চাই।’
বিবৃতিতে জি এম কাদের আরও বলেন, বাঙালি জাতির ইতিহাসে সুদীর্ঘকাল থেকে বৈষম্যের মাধ্যমে সৃষ্ট ব না, নিপীড়ন, নির্যাতন ও দারিদ্র্যের অভিশাপ প্রচলিত ছিল। বৈষম্যের এই অভিশাপ থেকে মুক্তি লাভের জন্য তাঁরা বারবার সংগ্রাম করেছেন। অনেকে আত্মদান করেছেন এবং বারবার বিজয়ী হয়েছেন। কিন্তু তাঁদের সেই বিজয় প্রতিনিয়ত ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিরোধীদলীয় এই নেতা বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ব্যবহার বা অপব্যবহার করে তাঁদের যেভাবে কলঙ্কিত করা হচ্ছে, তাতে আশঙ্কা হয়, ভবিষ্যতে কোনো প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের পরিচয় প্রকাশ করতে সংকোচ বোধ করতে পারেন। জি এম কাদের আরও বলেন, ‘কোটা সংস্কারের আন্দোলনের দাবিগুলো নীতিগতভাবে মেনে নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। সেই লক্ষ্যে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা যেতে পারে এবং সে বিষয়গুলো আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের জানানো যেতে পারে। অন্যথায় দেশ ও আগামী প্রজন্ম একটি সংঘাতময় অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ধাবিত হচ্ছে বলে আশঙ্কা করছি।