সকালের নাশতায় রুটি খেতে পছন্দ করেন কমবেশি সবাই। আবার অনেকে রাতে বেশি করে রুটি তৈরি করে রাখেন সকালে খাওয়ার জন্য। বাসি রুটি খাওয়ার প্রবণতা আছে অনেকের মধ্যেই। জানলে অবাক হবেন, অজান্তে হলেও তারা কিন্তু স্বাস্থ্যের উপকারই করছেন বাসি রুটি খেয়ে। প্রচুর পরিমাণ পুষ্টিগুণ থাকে বাসি রুটিতে।
বাসি রুটিতে পাওয়া যায় জটিল কার্বোহাইড্রেট। যা শক্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই কার্বোহাইড্রেটগুলো ধীরে ধীরে রক্ত প্রবাহে গ্লুকোজ ছেড়ে দেয়, ফলে দীর্ঘক্ষণ শক্তি পায় শরীর। রক্তে শর্করার পরিমাণ না বাড়িয়েই জটিল কার্বোহাইড্রেট ঘণ্টার পর ঘণ্টা আপনার পেট ভরা রাখতে পারে। ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে।
শুধু কার্বোহাইড্রেট নয়, বাসি রুটিতে আরও থাকে ফাইবার। ফাইবার হজমের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। যা কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে। এমনকি ফাইবার আপনাকে পরিতৃপ্ত রেখে ও অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমিয়ে স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতেও সহায়তা করে।
বাসি রুটি কেন এতো পুষ্টিকর? রুটি সারারাত রেখে দেওয়ার কারণে তা গাঁজন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায়। আর গাঁজনযুক্ত খাবার দেখে নাক সিটকালেও তা কিন্তু পুষ্টিতে পূর্ণ। গাঁজনযুক্ত খাবারে পাওয়া যায় প্রোবায়োটিক (উপকারী ব্যাকটেরিয়া)। এই প্রোবায়োটিকগুলো হজমশক্তি বাড়াতে, ইমিউন ফাংশন উন্নত করতে এমনকি মেজাজ ও মানসিক স্বাস্থ্যকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। এছাড়া বাসি রুটিতে থাকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ। এতে আয়রন, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন বি’সহ প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ থাকে। এই পুষ্টি সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আয়রন হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে সহায়তা করে, যা রক্তে অক্সিজেন পরিবহনের জন্য অত্যাবশ্যক। ক্যালসিয়াম শক্তিশালী হাড় ও দাঁতের জন্য জরুরি। অন্যদিকে ভিটামিন বি বিপাক ও মস্তিষ্কের কার্যকারিতায় ভূমিকা পালন করে। বাসি রুটির স্বাদ বাড়াতে এর সঙ্গে সবজি খেতে পারেন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া