পাকিস্তান শাহীনসের বিপক্ষে কষ্টার্জিত জয় পেল বাংলাদেশ এইচপি। ষোলআনা শিহরণ ছড়ানো ম্যাচে টাইগারদের জয় ৫ রানে। এই জয়ে ব্যাটে-বলে অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন মাহমুদুল হাসান জয়।
রোমাে র সম্ভাবনা আগে থেকেই ছিল। শেষ দিনে এসে বাংলাদেশর প্রয়োজন ছিল ৬ উইকেট, পাকিস্তান শাহিনসের চাই ১৬০ রান। পাক ব্যাটাররা চেষ্টার কমতি রাখেনি। তবে শেষ পর্যন্ত ২৯৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ২৯০ রানেই থামে তাদের ইনিংস। অথচ জয় অনেকটা অবধারিত হয়ে উঠেছিল পাকিস্তানের। সোমবার ডারউইনে জয় থেকে মাত্র ৯ রান দূরে তারা, তখনো হাতে ৩ উইকেট বাকি। সেখান থেকে জয়ের অবিশ্বাস্য বোলিংয়ে অনবদ্য জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।
প্রথম ইনিংসে ২৫৮ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ২১৬ রান তুলে বাংলাদেশ। যার কারণে পাকিস্তান শাহীনসের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৯৬ রান। তিন শ’ ছুঁইছুঁই লক্ষ্য তাড়ায় তৃতীয় দিনেই পাকিস্তান শাহীনস তোলে ৪ উইকেটে ১৩৬ রান। ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন হাসিবউল্লাহ। তবে চতুর্থ দিন আর ইনিংস বড় করতে পারেনি হাসিব, ৫১ রানেই তাকে আটকে দেয় রেজাউর রাজা। যদিও ষষ্ট উইকেট জুটিতে ৬৫ রান যোগ করে চাপ বাড়ায় পাকিস্তান। তৈয়ব তাহির ও ওমাইর বিন ইউসুফ ইনিংস লম্বা করতে থাকেন। তবে জয় এসে ফেরান তাদের দু’জনকেই। যথাক্রমে ৪৩ ও ৪৫ রান করে আউট হন তাহির ও ইউসুফ। তখনো তাদের জয়ের জন্য প্রয়োজন তখন ৬৬ রান, হাতে ৩ উইকেট। সেখান থেকেও চিন্তার ভাঁজ দূর হয়নি। দুই অফস্পিনার আলী ও শেহজাদ গড়ে তুলেন ৫৭ রান। এই সময় আরো একবার দলকে উদ্ধারে হাজির হন জয়। ফেরান দু’জনকেই। ২১ রানে ৫ উইকেট নেন জয়। এর আগে ব্যাট হাতেও দুই ইনিংসেই পান ফিফটির দেখা। প্রথম ইনিংসে ৬৯ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ৬৫ রান। তিনটি উইকেট নেন রাজা। এই জয়ে দুই ম্যাচের সিরিজটি ১-১ ব্যবধানে ড্র করল বাংলাদেশ।