জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল মারা গেছেন। গতকাল মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকাল ১১টা ৫৩ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। জুয়েলের মৃত্যুর খবর গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন তার মেজ ভাই মহিবুর রেজা রুবেল। তিনি জানান, শেষ কয়েক দিন জুয়েল অনেক যুদ্ধ করেছে। শেষ পর্যন্ত তিনি ফিরে আসলেন না। সবাই তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করবেন। জুয়েলের জানাজা ও দাফন নিয়ে এখনো পারিবারিক সিদ্ধান্ত হয়নি। খুব শিগগির এ বিষয়ে জানাবেন বলেও জানিয়েছেন মহিবুর রেজা রুবেল।
২০১১ সালে জুয়েলের লিভার ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর ফুসফুস এবং হাড়েও ক্যানসার সংক্রমিত হয়। তখন থেকেই দেশে ও বিদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছিল। ফের তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল এ গায়ককে।
১৯৯৩ সালে প্রকাশিত হয় জুয়েলের প্রথম অ্যালবাম ‘কুয়াশা প্রহর’। এরপর ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয় ‘এক বিকেলে’ (১৯৯৪), ‘আমার আছে অন্ধকার’ (১৯৯৫), ‘একটা মানুষ’ (১৯৯৬), ‘দেখা হবে না’ (১৯৯৭), ‘বেশি কিছু নয়’ (১৯৯৮), ‘বেদনা শুধুই বেদনা’ (১৯৯৯), ‘ফিরতি পথে’ (২০০৩), ‘দরজা খোলা বাড়ি’ (২০০৯), ‘এমন কেন হলো’ (২০১৭)। একটি করে গান নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে জুয়েলের আরো দুটি অ্যালবাম। এগুলো হলো— ‘তাতে কি বা আসে যায়’ (২০১৬), ‘এই সবুজের ধানক্ষেত’ (২০১৬)। ১৯৯৪ সালে ‘এক বিকেলে’ অ্যালবামটি প্রকাশের পরই দারুণ শ্রোতাপ্রিয়তা লাভ করেন এই গায়ক।