বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে বলেছেন, যত দ্রুত সম্ভব সংস্কার শেষ করে অবাধ,সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দিয়ে সম্মানের সঙ্গে সরকারকে বিদায় নিতে হবে। ‘রাজনৈতিক দলসহ সকল স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ তৈরি করে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিতে হবে। ছাত্র-জনতার বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের বিদায় হলেও তাদের প্রেতাত্বারা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিভিন্ন কর্মকান্ড বাধাগ্রস্ত করতে নানারকম ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। সবাইকে এব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। সন্ত্রাসী আওয়ামীলীগ ২০০৬ সালে লগি-বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে জামায়াতের নেতা-কর্মীদের বর্বোরোচিতভাবে হত্যা করেছিল। গণবিচ্ছিন্ন আওয়ামীলীগ নতুন করে চেষ্টা চালাচ্ছে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা জামায়াত আয়োজিত রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, বিগত পনেরো বছরে আওয়ামী শাসনামলে জামায়াতের ওপর স্টিমরোলার চালানো হয়।যুদ্ধাপরাধীদের প্রহসনের বিচারের নামে নিরাপরাধ জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসি দিয়ে অথবা কারাগারে রেখে হত্যার মধ্য দিয়ে শেষ পর্যন্ত জামায়াতকে নিশ্চিহ্ন করার অপচেষ্টা চালানো হয়।ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তাঁদের উপর জুলুম ও অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে।গণহত্যাসহ অর্থপাচার, খুন, গুমে যারা জড়িত তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।নির্লজ আওয়ামীলীগ চাকরিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈষম্য, দলীয়করণ দূর্ণীতির মাধ্যমে দেশকে ধংসের দারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল। যার ফলেই দেশের ছাত্র-জনতার মাধ্যমে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সৃষ্টি হয়।’ জামায়াতের জেলা আমীর ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান বাচ্চুর সভাপতিত্বে রুকন সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চল পরিচালক মোবারক হোসেন, খুলনা মহানগর আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান। এ ছাড়া বক্তব্য রাখের জামায়াতের জেলা সেক্রেটারি ও নড়াইল সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান মাওলানা মো: ওবায়দুল্লাহ কায়সার, সাবেক জেলা আমীর মাওলানা মীর্জা আশেক এলাহী, জামায়াত নেতা মো: আইয়ুব হোসেন খান, মো: আলমগীর হোসাইন, ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি মো: মেহেদী হাসান।পরে প্রধান অতিথি সুধী সমাবেশে বক্তৃতা করেন।