শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপজেলার গারো পাহাড়ের গজনীতে অবস্থিত এতিহ্যবাহী ৪শ বছরের বটগাছ। এ বটগাছকে ঘিরেই গড়ে উঠেছে শেরপুরের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র গজনী অবকাশ। যেখানে সারা বছরই ভ্রুমন পিপাসুরা সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসে। যাকে ঘিরে গজনী অবকাশ ওই বটগাছই এখন সবার দৃষ্টি কাড়ছে ৭৫টি মৌচাকের কারণে।কিন্তু বয়সের ভারে এক যুগ আগে গাছের অর্ধেক ভেঙে গেছে। অর্ধেক ভাঙ্গা বট গাছের আগাগোড়ায় ৭৫টি মৌচাক। গোড়া থেকে শুরু করে মগডাল পর্যন্ত চাক বেঁধে নির্বিঘ্নে বাস করছে মৌমাছির দল। মৌমাছির গুঞ্জনে পুরো এলাকা মুখরিত। এটি দেখার জন্য প্রতিদিনই গজনী অবকাশ কেন্দ্রে উৎসুক মানুষের এসে থাকে। দর্শণার্থীরা বলছেন এমন দৃশ্য প্রকৃতির এক বিশেষ খেয়াল। কেউ যাতে মৌমাছিগুলোকে বিরক্ত করে না। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এই গাছটি মৌমাছিদের বিশ্বস্ত অনেক আগে থেকেই। আগে শতশত মৌচাক থাকতো। কিন্তু এখন ডাল ভেঙ্গে যাওয়ায় মৌচাক কমে গেছে। তবে করোনার কারণে পর্যটন কেন্দ্রে মানুষজনের তেমন চলাফেরা, শব্দ দূষণ না থাকায় মৌচাকের সংখ্যা এবার বেড়ে গেছে। এদের কেউ অত্যাচার না করলে মৌচাকের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে ধারণা এলাকাবাসীর। এই মৌমাছিগুলোর আরও নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। কিশোরগঞ্জ থেকে আসা পর্যটক নূর উদ্দিন জানান, মৌচাকগুরো দেখতে খুব সুন্দর লাগছে। এটা আল্লাহর দান। মৌমাছি গুলো গজনীতে ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য একটি ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে। স্থানীয় মৌচাষী আব্দুল হালিম বলেন, এই মৌমাছিগুলো ডাচ জাতের বন মৌমাছি। এরা সংঘবদ্ধভাবে এক জায়গায় থাকতে ভালোবাসে। ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবেল মাহমুদ বলেন, একটি গাছে এতগুলো মৌচাক সচরাচর দেখা যায় না। বটগাছটিতে ৭০ থেকে ৭৫টি মৌচাক রয়েছে। এসব মৌচাক থেকে কেউ যেন মধু আহরণ এবং মৌমাছিদের বিরক্ত না করে তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।