দীর্ঘ একযুগ পলিথিনের ছাপরা ঘরে বসবাস করা পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার পশ্চিম লক্ষীপুর গ্রামের খাদিজা পেলেন সেমি পাঁকা ঘর। প্রধানমন্ত্রীর দেয়া সেমি পাঁকা ঘর পেয়ে খুশি খাদিজা বেগম। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতাধীন “যার জমি আছে ঘর নাই, তার নিজ জমিতে গৃহ নির্মাণ” প্রকল্পের আওতায় এঘর পেয়েছেন। প্রকল্পের উপকারভোগী মোসাঃ খাদিজা বেগম(৩৮) জানায়, সরকারের সচিব ও বাংলাদেশ পেট্রলিয়াম কর্পোরেশন এর চেয়ারম্যান মোঃ সামছুর রহমান সহায়তা করেছে ঘরটি পেতে। বিয়ের ছয়মাসের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় সিডরের আঘাতে গৃহহীন হয় খাদিজা বেগম। তখন সন্তান সম্ভবা খাদিজা আশ্রয় নেয় পিতৃগৃহে। পিতা খালেক প্যাদার ঘরেই খাদিজার কোল জুড়ে আসে কন্যা সন্তান কামনা। সন্তানের দেখভাল করাতে স্বামী আবুল কামাল সরদার পলিথিন ছাপরা দিয়ে স্ত্রী-সন্তানকে নিজবাড়ী কাঁটাখালী গ্রামে নিয়ে আসে। ঘূর্ণিঝড়ে ঘরভাঙা খাদিজার কপালে সুখ বুঝি সয়না। তাই স্বামী কামাল ২য় বিয়ে করে রাজধানী ঢকায় অবস্থান করছে। খোঁজ নেয়না স্ত্রী খাদিজা ও সন্তান কমনার। স্বামী পরিত্যাক্তা খাদিজা আবার চলে আসেন পিতৃগৃহে। এবার বাবার দেয়া জমিতে বাঁশ ছন, খর দিয়ে নির্মাণ করেন ঘর। ১০ বছরের অধিকাল ঘরে বৃষ্টির পানি ঠেকাতে পলিথিন দিয়ে তৈরি করেন ঝুপড়ি। আজ কামনা ষষ্ট শ্রেণির শিক্ষার্থী। অন্যের ঘরে কাজ করা স্বল্প আয়ে খাদিজা খোরপোষ মিটিয়ে সন্তানের লেখাপড়া চালাতে ব্যর্থ। এসময় নজরে আসে বাংলাদেশ সরকারের সচিব মোঃ সামছুর রহমান খোকনের। সরকারি আর্থিক সহায়তায় সেমিপাঁকা ঘর পাইয়ে দেন খাদিজাকে। একই সাথে খাদিজার সন্তান কামনার লেখাপড়াসহ সকল খরচের দায়িত্ব নেন তিনি। দশমিনা ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. ইকবাল মাহামুদ লিটন বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে খাজিদাকে সহায়তা দেয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতেও এ সহযোগীতা অব্যাহত থাকবে। দশমিনা উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোসাঃ তানিয়া ফেরদৌস বলেন, সচিব মোঃ সামছুর রহমান মহোদয় নিজস্ব অর্থায়নে ৬০জন ভিক্ষুকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। তাঁর সুদৃষ্টি থাকলে আরও মানবিক সহায়তাসহ উন্নয়নমূল কাজ হবে এ উপজেলায়।