এ বছর বাংলাদেশ উদযাপন করবে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী। তবে দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করতে ছিল নিবেদিত প্রাণ, স্বাধীনতার এ দীর্ঘ সময়ে এখনও স্বীকৃতি পায়নি অনেক মুক্তিযোদ্ধা। তাদেরই একজন পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার দৈহারী ইউনিয়নের উড়িবুনিয়া গ্রামের সত্যেন্দ্র নাথ রায়(৬৮)। মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বশেষ তালিকায় নাম নাই এই বীর মুক্তিযোদ্ধার। সত্যেন্দ্র নাথ রায় জানান, দেশে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পর তিনি ভারতে চলে যান এবং সেখানে প্রশিক্ষণ গ্রহন করেন। সেখানে তার ওস্তাদ ছিলেন ভিম সিং, জ্ঞান সিং ও এম এল রায়। এছাড়া এফ এফ ফ্রিডম ফাইটের রোল নং ছিল ১৮১। প্রশিক্ষণ শেষে তিনি যশোর ও খুলনার বিভিন্ন স্থানে যুদ্ধে অংশ নেন। এরপর তিনি অ¯্রও জমা দেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি বরিশাল থেকে ভাতাও তুলেছেন বলে জানান। তবে লঞ্চযোগে বরিশাল থেকে ফেরার পথে তিনি ডাকাতদের কবলে পড়েন। এ সময় ডাকাতরা মুক্তিযুদ্ধের সকল কাগজপত্রসহ তার ব্যাগটি ছিনিয়ে নেয়। এরপর তিনি তার কাগজগুলো আর উদ্ধার করতে পারেননি। সত্যেন্দ্র নাথ রায় দাবি করেন, তিনি কোন কিছু পাওয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেননি। তবে সরকার যেহেতু বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন ধরণের সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে, সেগুলো পাওয়ার অধিকার আছে তার। তাই তিনি তাকে গেজেটভূক্ত করার দাবি জানান।