মিয়ানমারের সেনা বাহিনীকে সাবেক প্রেমিকের চেয়েও খারাপ বলে মন্তব্য করছেন দেশটির জনগণ। গতকাল থেকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে মিয়ানমারের কিছু সংবাদ প্রকাশ হয়েছে, যেখানে দেখা গেছে প্লাকার্ড হাতে বিক্ষোভ করেছে দেশটির কিছু তরুণী। সেখানে লেখা- ‘আমার প্রেমিক খারাপ, কিন্তু সেনাবাহিনী তো একদম নগণ্য।’ গত সোমবার এমন বিক্ষোভের চিত্র ফুটে ওঠে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে। তরুণীদের ভিন্নধর্মী এই প্রতিবাদের কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে, মুক্ত দেশে বেড়ে ওঠা এবং ইন্টারনেটের কল্যাণে পশ্চিমা সংস্কৃতির সঙ্গে সখ্যতা বাড়া। যার ফলে তাদের চিন্তা-ভাবনা ঐতিহ্যবাহী ধারণা থেকে ভিন্নতর হতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
গত সপ্তাহে ক্ষমতা দখলকারী মিয়ানমারের সামরিক নেতাদের জন্য তাদের গণতন্ত্রপন্থী বার্তাগুলোতে কিছু হাস্য-রসিকতাও লক্ষ্য করা গেছে। যেমন- একজন বিক্ষোভকারীর হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘আমি স্বৈরশাসন চাই না, আমি কেবল প্রেমিক চাই’ লেখা প্ল্যাকার্ড। অন্য বিক্ষোভকারীরা অভ্যুত্থান প্রত্যাখ্যানের ক্ষেত্রে আরও স্পষ্টভাবে বার্তা দিয়েছেন। সেরকম একজনের প্ল্যাকার্ডে লেখা, ‘সেনাবাহিনী ভুল লোকদের সঙ্গে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ আরেক বিক্ষোভকারীর হাতে থাকা পোস্টারে লেখা দেখা গেছে, ‘আমাদের স্বপ্ন মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং হ্লেইং উচ্চতার থেকেও বড়।’ তবে, সোমবার দেশটির পুলিশ এই বিক্ষোভকারীদের রাস্তা ছেড়ে দিতে সর্তকবার্তা দেয়। স্বেচ্ছায় তারা সরে না গেছে বল প্রয়োগ করে তাদের সরানো হবে বলে হুমকি দেয়া হয়। এদিকে, নির্বাচনের পর থেকেই মিয়ানমার সেনাবাহিনী প্রমাণ ছাড়াই দাবি করে আসছে, নভেম্বরের নির্বাচনে জালিয়াতির মাধ্যমে অং সান সু চি’কে পুনরায় নির্বাচিত করা হয়েছে। এরই জেরে গত সপ্তাহে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়।