বঙ্গবন্ধুর নামে দোকান পুরোদিন মুজিব ভক্তদের খাওয়ান বিনামূল্যে চা-বিস্কুট। এমনি এক মুজিব ভক্তের খোঁজ মিলেছে শেরপুর সদর উপজেলার বাজিতখিলা ইউনিয়নের মধ্যে কুমরীতে। নাম তার হারুন অর রশীদ(৩৪)। চালান বঙ্গবন্ধু নাইট স্টোর নামে এক মুদি দোকান। সরেজমিনে দেখা গেছে এমনি চিত্র। বঙ্গবন্ধু নাইট স্টোরের স্বত্বাধিকারী হারুন চা খাওয়াচ্ছেন বয়োবৃদ্ধসহ কয়েকজন যুবককে। এ বিষয়ে হারুনের কথা হয় ঢাকা পোস্টের সাথে তিনি জানান, ভাই আমি বঙ্গবন্ধু ও মুজিব পরিবারের এক অন্ধ ভক্ত। ছোট বেলা থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শ বুকে ধারন করে লালন করে বড় হয়েছি। উনার ভাষন টিভিতে দেখতাম, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কোন পত্রিকায় খবর ছাপলে সেটিও মনযোগ দিয়ে পরতাম। হারুন আরও জানান, শেখ মুজিব একজন মহানায়ক, উনার কারনেই আমরা স্বাধীন একটা দেশ পেয়েছি। বিনামূল্যে চা খাওয়ানোর বিষয়ে হারুন বলেন, বঙ্গবন্ধু গরীব অসহায় মানুষের কথা ভাবতেন। নিজে না খেয়ে ক্ষুধার্তদের খাওয়াতেন। তার এই আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আমি মুজিব ভক্তসহ অসহায় পথচারীদের চা, বিস্কুট খাওয়াই। এমনি দিন যায় আমি বঙ্গবন্ধুর নামে ৫০ থেকে ১০০ কাপ চা বিনামূল্যে খাওয়াই। এ বিষয়ে স্থানীয় সাইদুর রহমান(৫০) বলেন, বঙ্গবন্ধু একজন সত্যিকারের দেশ প্রেমিক ছিলেন। তাই দোকানদার হারুন শেখ মুজিবর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে উনার নামে বঙ্গবন্ধু নাইট স্টোর দিয়েছেন। আমরা এলাকাবাসীরা অনেক সময় চিন্তা করি এবং হারুনকে বলি এই ছোট দোকানে কয় টাকা লাভ হয়। তখন হারুন আমাদের জানায়, লাভ না হোক ক্ষতি তো হয় না। সারাদিন টুকটাক যা বিক্রি করি তা থেকে কিছু টাকা বাচিয়ে আমি মুজিব ভক্তদের চা খাওয়াই। যেটা আমাকে আনন্দ দেয়, উৎসাহিত করে। বঙ্গবন্ধু নাইট স্টোরের বিষয়ে কথা হয় স্থানীয় আব্দুল মতিনের সাথে(৩৬) তিনি বলেন, মুদি দোকানদার হারুন ছোট বেলায় দারিদ্রতার মধ্যে দিন পার করেছে। বড় হয়ে সে ঢাকায় চলে যায়। সেখান কাজকর্ম করে কিছু টাকা জমিয়ে আবার শেরপুর এসে এই বঙ্গবন্ধু নাইট স্টোরের প্রতিষ্ঠা করে। আব্দুল মতিন আরও জানান, হারুন ছোট বেলা থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমনের অন্ধ ভক্ত শুধু তাই না সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও ভক্ত। হারুন সকাল থেকে দীর্ঘ রাত পর্যন্ত দোকান চালায়। দোকানে কোন মুজিব বা আ.লীগ সমর্থিত কাস্টমার আসলে তাকে হারুন বিনামূল্যে চা-পান খাওয়ায়। করোনাকালীন সময়ে হারুন চায়ের সাথে একটি করি ফ্রি মাস্কও দিয়েছে, যেন করোনা মহামারী ঠেকানো যায়। হারুনের এমন মানবিক কাজকর্মে আমরা এলাকাবাসী গর্বিত।