আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ-২০২১। তিন দিনব্যাপী এ অলিম্পিয়াড ২৫-২৭ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। দেশে দ্বিতীয়বারের মতো ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁও আইসিটি টাওয়ারের বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল অডিটরিয়ামে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এসব তথ্য জানান। প্রতিমন্ত্রী জানান, দ্বিতীয় আসরে সারাদেশের ৭০টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২৫৬টি দল আবেদন করেছে। ব্লকচেইন প্রকল্পের গুণগত মান বিবেচনায় চূড়ান্ত পর্বে ৪০টি দলকে মনোনীত করা হয়েছে। এই প্রতিযোগিতা থেকে নির্বাচিত ১২টি দল আগামী জুলাই মাসে ইন্টারন্যাশনাল ব্লকচেইন অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে।
জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, এবারের জাতীয় ব্লকচেইন অলিম্পিয়াডের তিনদিনে ব্লকচেইন বিষয়ক ৪টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে দেশি ও বিদেশি ব্লকচেইন বিশেষজ্ঞ, নীতিনির্ধারকসহ অন্যান্যরা অংশগ্রহণ করবেন। সশরীরে অংশ নেয়া ছাড়াও অনলাইনে অলিস্পিয়াডে অংশ নেয়া যাবে।
গত বছর দেশে প্রথম ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়। ওই অলিম্পিয়াডে মোট ৬২টি প্রকল্প উপস্থাপিত হয়, যার মধ্যে ২০টি প্রকল্প চূড়ান্ত পর্বে উন্নীত হয়। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের আগমনে সমগ্র পৃথিবীর প্রযুক্তি অঙ্গনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। যেসব প্রযুক্তির কারণে এ বিপ্লবের সূচনা হয়, তার অন্যতম হলো ব্লকচেইন। এ প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে বিদ্যমান বহু সমস্যার ডিজিটাল সমাধান করা সম্ভব। তিনি জানান, ডকুমেন্ট অথেন্টিকেশন, ই-গভর্নেন্স, আইডেন্টিফিটি ভেরিফিকেশন, সাপ্লাইচেইন এবং বিশেষ করে ফিনটেক সলিউশনের জন্য ব্লকচেইন অনন্য ভূমিকা পালন করতে পারে। এ সম্ভাবনাময় প্রযুক্তি তরুণদের জন্য বিশাল সুযোগের ক্ষেত্র তৈরি করবে। ব্লকচেইন প্রযুক্তিতে প্রায় প্রতিটি শিল্প রূপান্তরিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি আরো দক্ষ এবং সমৃদ্ধ বিশ্ব তৈরি করতে পারে, যেখানে মানুষ মধ্যস্থতাকারীর প্রয়োজন ছাড়াই একে অপরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে পারে। সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, অস্ট্রেলিয়া, চীন, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য অনেক দেশ ব্লকচেইন প্রযুক্তি গ্রহণের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। অস্ট্রেলিয়ার কর ব্যবস্থা, সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা এবং নরওয়ের ভূমি নিবন্ধনেএই প্রযুক্তি প্রয়োগ করা হয়েছে। বাংলাদেশে ইতোমধ্যে ব্লকচেইন প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পেনশন প্রদানের ডিজিটাল সলিউশনে ব্লকচেইন প্রযুক্তির সফল ব্যবহার করেছে। এছাড়াও টেকনোহ্যাভেন কোম্পানি লিমিটেডসহ দেশীয় বিভিন্ন সফটওয়্যার কোম্পানি বৈদেশিক বাজারের জন্য ব্লকচেইন সলিউশন তৈরি করছে।