রমজান মাসে সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখতে স্থানীয় উৎস থেকে ২ কোটি ৫০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ২৯২ কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। মেঘনা এডিবল অয়েল রিফাইনারি লিমিটেড এসব তেল সরবরাহ করবে।
এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে যাওয়া, চাহিদার তুলনায় অভ্যন্তরীণ উৎপাদন কম হওয়া, ব্যবসায়ীদের বেশি মুনাফার প্রবণতার কারণে স্থানীয় বাজারে ভোজ্য তেল, চিনি, মশুর ডাল, ছোলা, পেঁয়াজ ও গুঁড়ো দুধের দাম বেড়ে যায়। এতে ভোক্তারা দুর্ভোগে পড়েন। এমন পরিস্থিতি মোকাবিলার লক্ষ্যে বিভিন্ন পণ্যের সরকারি মজুদ বাড়িয়ে সরবরাহ পরিস্থিতি উন্নতির জন্য বাজারে হস্তক্ষেপ করা জরুরি হয়ে পড়ে।’ সূত্র জানিয়েছে, ২ কোটি ৫০ লাখ লিটার (প্রায় ২৩ হাজার মেট্রিক টন) সয়াবিন তেল কেনার জন্য গত ৩০ ডিসেম্বর উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হয়। দরপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল গত ২৮ জানুয়ারি দুপুর ১২টা পর্যন্ত। নির্ধারিত সময়ে তিনটি দরপ্রস্তাব পাওয়া যায়।
সূত্র জানায়, আড়াই কোটি লিটার সয়াবিন তেল স্থানীয়ভাবে কেনার সুপারিশ প্রণয়নের জন্য ১ ফেব্রুয়ারি ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে সংশ্লিষ্ট সদস্যদের উপস্থিতিতে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সভা হয়। কমিটি তিনটি দরপত্র, তুলনামূলক বিবরণী, সংযুক্ত দাখিলকৃত কাগজ পর্যালোচনা করে দেখে যে, দরদাতা প্রতিষ্ঠান মেঘনা এডিবল অয়েল রিফাইরারি লিমিটেড, সুপার অয়েল রিফাইনারি লিমিটেড এবং সান সাইন এডিবল অয়েল লিমিটেডের তিনটি দরপত্রই রেসপনসিভ। এর মধ্যে মেঘনা এডিবল অয়েল রিফাইনারি লিমিটেডের ২ লিটার পেট বোতলের তেলের প্রস্তাবিত দর অগ্রিম আয়কর ও টিসিবি’র গুদামগুলোতে পরিবহনসহ প্রতি লিটারে ১১৭.৫২ টাকা এবং ৫ লিটার পেট বোতলে প্রস্তাবিত দর অগ্রিম আয়কর ও টিসিবি’র গুদামগুলোতে পরিবহনসহ প্রতি লিটারে ১১৬.১৮ টাকা। এ দর সর্বনিম্ন।
সূত্র জানায়, দরপত্রের বিপরীতে ২ লিটার পেট বোতলের তেলের দাপ্তরিক প্রাক্কলিত মূল্য ২৫০.০৬ টাকা অর্থাৎ প্রতি লিটার ১২৫.০৩ টাকা এবং ৫ লিটার পেট বোতলের দাপ্তরিক প্রাক্কলিত দাম ৫৭০ টাকা অর্থাৎ প্রতি লিটারের দাম ১১৪ টাকা। টিসিবি’র দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে সর্বনিম্ন দরদাতার প্রস্তাবিত দামে তেল কেনার সুপারিশ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে টিসিবি’র পরিচালনা পরিষদ উল্লিখিত পরিমাণ সয়াবিন তেল প্রস্তাবিত দামে কেনার বিষয়ে সুপারিশ করে। এ সংক্রান্ত একটি ক্রয় প্রস্তাব অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে।