সেই ১৯৯৩ সালের মুম্বাই বিস্ফোরণ-হামলার ঘটনার পর, হামলাকারীর কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র কেনার অভিযোগে গ্রেফতার হন বলিউড অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত। তার সাজা হয় দীর্ঘ কারাবাসের।
জেলে গিয়ে আট ফুট বাই দশ ফুটের একটি সেলে বাস করতেন তিনি। চার বছর তিন মাস ১৪ দিন কারাগারে ছিলেন তিনি। করোনার লকডাউন তাকে সে সব দিনের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে বলে দাবি করলেন সঞ্জয়।
সম্প্রতি দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে সঞ্জয় দত্ত এসব কথা জানান। পৃথিবীর নানা প্রান্তে ঘুরে বেড়ান সঞ্জয়। কিন্তু এখন একেবারেই বন্দি। এই নিয়ে সঞ্জয় দত্ত বলেন, ‘অভিনয়ের জন্য শরীর এবং মন দুটোই লাগে। এই আইসোলেশনের কারণে আমি আমার ব্যাটারি রিচার্জ করার সুযোগ পেয়েছি। বিশ্রাম নিতে পারছি এবং পরবর্তী চরিত্রগুলোর জন্য মানসিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত করার সময় পেয়েছি।
জটিল চরিত্রগুলোতে অভিনয়ের প্রস্তুতির জন্য অনেক সময় এবং শক্তি লাগে। এই চরিত্রগুলোই আমার ভালো লাগে।’
তবে লকডাউনের এই সময়ে পরিবারকে মিস করছেন সাঞ্জু বাবা। স্ত্রী মান্যতা ও সন্তানেরা গিয়েছিলেন দুবাই। সেখানে তারা আটকে আছেন। তাদের মিস করা নিয়ে সঞ্জয় বলেন, ‘অতীতে আমার জীবনের দীর্ঘ সময় লকডাউনে কাটিয়েছি। বহুবার কাঁদিয়েছে আমাকে সেসব দিন। তখন এবং এখনও আমি আমার পরিবারকে মিস করছি। আমার জন্য তারাই সব।
টেকনোলজিকে ধন্যবাদ। ভিডিও কলে ভার্চুয়ালি তাদের দেখতে পারি, কথা বলতে পারি সারাদিনে অনেকবার। কিন্তু তবুও খুব মিস করছি। এই সময়টা শিক্ষা দিয়েছে যে জীবন ভঙ্গুর এবং ভালোবাসার মানুষগুলোর সঙ্গে সময় কাটানোর মূল্য অনেক।’
‘করোনাভাইরাস পৃথিবী থেকে চলে যাওয়ার পরে নিজের জীবনে কোনো পরিবর্তন আনতে চান কী না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘কোনো পরিবর্তন চাই না। তবে হ্যাঁ, আমার পরিবারকে এক ছাদের নিচে পেতে চাই। আমার জীবন যেভাবে চলছে, তা নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। অপেক্ষা করছি লকডাউন শেষ হওয়ার এবং পরিবারকে কাছে পাওয়ার।’
সঞ্জয় বলেন, ‘সময় অনেক মূল্যবান। এই মহামারী আমাদের শেখাচ্ছে, যখন সময়ের বিলাসিতা থাকে, তখন অনেক কিছুই করা যায়।’
ই-খ/খবরপত্র