করোনা ভাইরাসের মহামারিতে পবিত্র রমজান মাসে ওমরাহ পালনসহ পবিত্র মক্কা-মদিনা শহরে ইবাদত বন্দেগীর ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে সৌদি আরবের সরকার। টিকাগ্রহণ করাকে সেখানে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। মহামারির কারণে গত বছরের অক্টোবরে সাত মাস পর পবিত্র দুই মসজিদে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা উঠে যায়। তারপর লাখ লাখ মানুষ মাস্ক পরে ও সামাজিক দূরত্ব মেনে নামাজ ও ওমরা পালন করেছেন। এই রমজানের প্রথম ১০ দিনেই অন্তত ১৫ লাখ মুসল্লি মসজিদুল হারামে প্রার্থনা করেছেন বলে জানা গেছে।
সৌদি হজ এবং ওমরা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ড. আমর আল-মাদ্দাহ জানান, বর্তমানে প্রতিদিন ৫০ হাজার ওমরা পালনকারীসহ এক লাখ মুসল্লিকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে প্রার্থনার অনুমতি দিচ্ছে সরকার। এবার বেশ কয়েকটি দেশের মসুল্লিরা ওমরাহ পালনের সুযোগ পাচ্ছেন।
তিনি জানান, গত বছরের ২০ আগস্ট জারি করা এক রাজকীয় ফরমানে নির্দেশ দেয়া হয় যে, মসজিদুল হারামে প্রবেশে ইচ্ছুক সকলকেই বাধ্যতামূলকভাবে করোনা ভাইরাসের টিকা নিতে হবে। দেশ-বিদেশ থেকে আসা সকল মুসল্লি ও ওমরা যাত্রীকে এজন্য তাদের টিকাগ্রহণের সনদ প্রদর্শন করেই অনুমতির আবেদন করতে হবে।
সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অনুমোদিত টিকা এবং তাদের দেওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতেই দেশটির হজ ও ওমরা মন্ত্রণালয় কাজ করছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দিক-নির্দেশনা অনুসারে হজের অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রেও টিকা অনুমোদনের তথ্যাবলী নিয়মিত হালনাগাদ করা হয়। প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, একজন ওমরা যাত্রীর অবস্থান ইতমার্না এবং তাওয়াক্কালনা নামক দুটি অ্যাপের মাধ্যমে নির্দেশিত হবে। জায়গা বরাদ্দ নিশ্চিত হলে অভ্যর্থনা কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় সনদ দেখানোর পর তাকে মসজিদে নামাজ আদায় বা ওমরা পালনের জন্য প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। অভ্যর্থনা কেন্দ্রে প্রথমে অনুমতিপত্রের মেয়াদ পরীক্ষা করা হবে, তারপর দেখা হবে টিকাগ্রহণের তথ্য নির্ভুল কিনা। এ ছাড়া, মক্কায় আসার আগে ওমরা যাত্রীদের সুনির্দিষ্ট পরিবহন কোম্পানিকে ভাড়া পরিশোধ করতে হয়। এসব সংস্থা বিশেষভাবে জীবাণুমুক্ত করা বাহনে যাত্রীদের আনা-নেওয়ার কাজে যুক্ত আছে।