স্বাস্থ্য অধিদফতরের গাড়িচালক আব্দুল মালেক ওরফে মালেক ড্রাইভারের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের মামলায় আদালতে ৫ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। তারা হলেন র্যাব-১ এর এসআই সাজেদুল ইসলাম ও সদস্য আনিসুর রহমান, করপোরাল শফিকুল ইসলাম, মোতালেব হোসেন ও শহিদুল ইসলাম গতকাল বুধবার (২৫ আগস্ট) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে মামলার বাদী র্যাব-১ এর পরিদর্শক আলমগীর হোসেন ও এসআই মো. জাকিরের জেরা শেষ করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। এরপর এই ৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হওয়ায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য বিচারক বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) দিন ধার্য করেন। বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত আসামি মালেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে মামলাটির বিচারের জন্য আদেশ দেন। গত ১১ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মেহেদী হাসান চৌধুরী ড্রাইভার মালেককে একমাত্র আসামি করে এ চার্জশিট আদালতে দাখিল করেন। এর আগে ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর তুরাগ থানাধীন কামারপাড়াস্থ ৪২ নম্বর বামনেরটেক হাজী কমপ্লেক্সের তৃতীয় তলার বাসা থেকে মালেককে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, পাঁচ রাউন্ড গুলি, দেড় লাখ বাংলাদেশি জাল নোট, একটি ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় র্যাব-১ এর পুলিশ পরিদর্শক আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন।
র্যাবের পরিচালক (মিডিয়া) লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, ড্রাইভার মালেকের বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র ব্যবসা, জাল টাকার ব্যবসা ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকা-ের অভিযোগ রয়েছে। সে তার এলাকায় সাধারণ মানুষকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে শক্তির মহড়া ও দাপট প্রদর্শনের মাধ্যমে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে এবং জনজীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মালেক জানান, তিনি পেশায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিবহন পুলের একজন ড্রাইভার এবং তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা ৮ম শ্রেণি। তিনি ১৯৮২ সালে সর্বপ্রথম সাভার স্বাস্থ্য প্রকল্পে ড্রাইভার হিসেবে যোগদান করেন। পরে ১৯৮৬ সালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিবহন পুলে ড্রাইভার হিসেবে চাকরি শুরু করেন। সর্বশেষ তিনি প্রেষণে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা অধিদফতরে কর্মরত ছিলেন।