সাকিব আল হাসানের রাজনীতিতে আসার খবর পুরোনো। নিজেই জানিয়েছেন, সুযোগ পেলে তিনি খেলা চলাকালীন রাজনীতির মাঠে নামবেন।
মাশরাফি বিন মুর্তজা খেলা চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি রাজনীতি করছেন। নড়াইল-২ আসন থেকে সংসদ সদস্যও নির্বাচিত হয়েছেন। শেষ জাতীয় নির্বাচনে গুঞ্জন ছড়িয়েছিল, মাশরাফির সঙ্গে সাকিবও সংসদ নির্বাচন করবেন! কিন্তু হাইকমান্ড থেকে নমিনেশন না দেওয়ায় সাকিবের সেবার রাজনীতির মাঠে নামা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে সাকিব কখনোই সরাসরি কথা বলেননি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে কি সত্যিই নমিনেশন চেয়েছিলেন সাকিব?
সোমবার ডয়েচে ভেলে-তে দেওয়া সাক্ষাতকারে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন সাকিব। তবে নিষেধাজ্ঞায় থাকা এ ক্রিকেটার এবারও রাখলেন ধোঁয়াশায়।
সাকিব বলেছেন,‘আসলে কিছু জিনিস গোপন থাকাই ভালো। যে বিষয়টি জানতে চাচ্ছেন সেটা প্রকাশ পাওয়াই উচিত না! আমি যদি রাজনীতিতে আসি তাহলে সেটাও (২০১৮ সালে নমিনেশন পাওয়া) প্রকাশ পাবে না। আবার যদি না আসি সেটাও আসবে না।’
‘এটা এমন একটি সিক্রেট যেটা চাইনা কখনো কেউ জানুক। কিছু কিছু জায়গা মানুষের কৌতূহল জাগানোর মতোই জায়গা। যে বিষয়টি নিয়ে কথা বলছেন সেখানেও মানুষের কৌতূহল থাকাই স্বাভাবিক। আমি যদি আমার জায়গা না থাকতাম তাহলে আমারও কৌতূহল জাগত। এই দুই-একটা কৌতূহল মানুষের মনে থাকার দরকার। সব কৌতূহল যদি আপনি প্রকাশ করে দেন তখন মানুষের আমাকে নিয়ে আগ্রহ থাকবে না। সেজন্য বলছি এটা নিয়ে আগ্রহ থাক।’ – যোগ করেন সাকিব।
তবে এমপি, মন্ত্রী হওয়ার অভিলাষ আছে কিনা জানতে চাইলে সাকিব বলেন,‘এগুলো সময়ের ওপর ছেড়ে দিতে হবে। ভবিষ্যতে কি হবে তা বলা খুব কঠিন। করোনাভাইরাসের সময় আমি এতোটুকু শিক্ষা পেয়েছি, কাল কি হবে সেটা নিশ্চিত নয়। এই জায়গা থেকে আমি বলতে চাই, খুব বেশি দূরের বিষয়ে আমি ফোকাস করতে চাই না। যদি সুযোগ আসে আমি স্বাগত জানাবো সত্যি কথা। যদি সুযোগ না আসে সেটা নিয়েও আমার আফসোস থাকবে না।’
এমআর/প্রিন্স