ঢাকা মেডিকেল বার্ন ইউনিটে নতুন কোভিড-১৯ হাসপাতালে বেড়েই চলেছে মৃত্যুর সংখ্যা। ২ মে থেকে এখানে রোগী ভর্তি শুরু হয়। বুধবার (১৪ মে) পর্যন্ত ১৩৩ জন ভর্তি রোগী মারা গেছেন। এদের মধ্যে ২৩ জন কোভিড ১৯ আক্রান্ত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ মে) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ সূত্রে জানা যায়, গত ১২ দিনে ঢামেকের নতুন কোভিড-১৯ হাসপাতালে মারা গেছে ১৩৩ জন।
গত ২মে শুরু হয় বার্ন ইউনিটের কোভিড রোগী ভর্তির কার্যক্রম। সেদিন ভর্তি শুরু হতে না হতেই মারা যায় একজন। এরপর থেকে একে একে প্রতিদিনই মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে থাকে। সে অনুযায়ী গতকাল বুধবার ১৩ মে পর্যন্ত সর্বমোট ১৩৩ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ২৩ জন রোগী হচ্ছে করোনা পজিটিভ। বাকিরা সাসপেক্টেড।
ঢামেকের করোনা ইউনিট সুত্রে জানা যায়, বর্তমানে হাসপাতালে রোগী ভর্তি আছে ১৮৯ জন। এর মধ্যে আইসিউতে আছে ১০জন। ৯০ জন রোগী কোভিড-১৯ পজেটিভ। গত ২মে থেকে ১৪মে পর্যন্ত রোগী ভর্তি হয়েছিল প্রায় ১২০০ এর ওপরে। অনেকেই চিকিৎসা নিয়ে বাসায় গেছেন। আবার অনেকেই হাসপাতালের কাউকে কিছু না বলে চলে গেছেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘হাসপাতালে যে কোনো রোগী আসলেই সবাই করোনা ইউনিটে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ ছাড়া করোনাভাইরাসের আগে আমাদের হাসপাতালে নরমালি প্রতিদিনই মৃত্যু হতো ২৫ থেকে ৩০ জনের। সে অনুযায়ী মৃত্যুর সংখ্যা কিন্তু এখন কম। যেমন গত কালকে করোনায় দুইজন মারা গিয়েছেন।’
পরিচালক বলেন, ‘ঢামেক এর নতুন ভবন প্রস্তুত করে ফেলেছি। শনিবার থেকে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করা হবে। প্রায় ৫০০ থেকে সাড়ে ৫০০ কোভিড রোগী এখানে চিকিৎসা নিতে পারবে। ঢামেকের করোনা ইউনিটে-২ এর জন্য চিকিৎসক নার্স সবারই রোস্টার করা হয়েছে। ওয়ার্ডবয়রা প্রস্তুত আছে। এ ছাড়া নতুন চিকিৎসকও আমরা পেয়েছি ১৯২ জন। নতুন নার্স পেয়েছি প্রায় ৫০০জন। ডাক্তার নার্স ওয়ার্ডবয় এখন আমাদের কোনো সংকট নেই।’
এমআর/প্রিন্স