শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২২ পূর্বাহ্ন

তিন দিনের সফর শেষে ঢাকা ছেড়েছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি

বাসস:
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২১

ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ বাংলাদেশে তিন দিনের ব্যস্ততম রাষ্ট্রীয় সফর গুটিয়ে গতকাল শুক্রকার দুপুরে নয়াদিল্লীর উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন দুপুর পৌনে একটায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে ভারতের রাষ্ট্রপতিকে বিদায় জানান।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বুধবার কোবিন্দ তিন দিনের সফরে ঢাকা আসেন। ভারতের রাষ্ট্রপতি রমনা কালী মন্দিরের সংস্কারকৃত অংশের উদ্বোধন করেছেন : সফররত ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ আজ রাজধানীর রমনা কালী মন্দিরের সংস্কারকৃত অংশের উদ্বোধন করেছেন। ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে তিনি সংস্কারকৃত ভবনের উদ্বোধন করেন। মন্দিরে পূজাও দেন ভারতের রাষ্ট্রপতি। কোবিন্দ আমন্ত্রিত অতিথি, মন্দির কমিটির সদস্যবৃন্দ, হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি এবং পূজারিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। ভারতের রাষ্ট্রপতি তাঁর পতœী ফাস্ট লেডি শ্রীমতি সবিতা কোবিন্দ এবং তাদের কন্যা স্বাতী কোবিন্দকে সঙ্গে নিয়ে সকাল সাড়ে দশটায় রমনা কালী মন্দিরে পৌঁছেন।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান মন্দির প্রাঙ্গনে ভারতের রাষ্ট্রপতিকে অভ্যর্থনা জানান। মন্দিরে পৌঁছলে হিন্দু ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী সিঙ্গা ফুঁকিয়ে তাকে স্বাগত জানানো হয়। মন্দিরের সংস্কারকৃত অংশের উদ্ধোধনের পর ভারতের রাষ্ট্রপতি তার পতœী ও কন্যাকে নিয়ে মন্দিরে পূজা করেন। পরে তারা সেখান থেকে হোটেলে ফিরে যান।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তীর সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বুধবার কোবিন্দ তিন দিনের সফরে ঢাকা আসেন।
কোবিন্দ আজ বিকেলে নয়াদিল্লীর উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করার কথা রয়েছে। এর আগে রমনা কালী মন্দিরের কার্য নির্বাহী কমিটির সভাপতি উৎপল সাহা বলেছিলেন, শ্রী শ্রী রমনা কালী মন্দির এবং শ্রীমা আনন্দময়ী আশ্রম ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী অপারেশন সার্চ লাইটের সময় সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেয়।
তিনি বলেন, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী অপারেশন সার্চলাইটের সময় শতাব্দীর প্রাচীন মন্দিরটি ধ্বংস করে দেয় ও মন্দির চত্বরের অনেকগুলো বাড়িতে হামলা চালায় এবং বাসিন্দাদের নির্মমভাবে হত্যা করে।
উৎপল বলেন, বাংলাদেশ সরকারের সহায়তায় এবং ভারত সরকারের অর্থায়নে মন্দিরটি আবার নতুনরূপে সংস্কার করা হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর যারাই ক্ষমতায় এসেছিল তাদের কেউই মন্দিরটি সংস্কারের উদ্যোগ না নেয়ায় বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পর সংস্কার করা হলো।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকে আমরা পুলিশের কোন বাধা ছাড়াই এখানে পূজা করার সুযোগ পেয়েছিলাম।’
উৎপল বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকায় ভারত সরকার হয়তো মন্দির সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া সম্ভব হয়েছে।
উৎপল আরো বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মন্দির প্রাঙ্গনে যারা শহীদ হয়েছিলেন এখানে তাদের নামের একটি স্মরণীয় ফলক ছিল।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com