ভারতে মোদী সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের চতুর্থ বাজেট ঘোষণা হতে যাচ্ছে আজ ১ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার। করোনাভাইরাস মহামারির আঘাত সামলানোর পাশাপাশি এবারের বাজেটে ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সবধরনের প্রস্তুতি থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।একনজরে দেখে নেওয়া যাক ভারতের ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটের কিছু উল্লেখযোগ্য দিক-
ঘোষণা কবে কখন? ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ভারতের মহাগুরুত্বপূর্ণ বাজেট ঘোষণা করবেন দেশটির কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় (বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ১১টা) ভারতীয় পার্লামেন্টে এ বাজেট ঘোষণা শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি হবে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের ১০ম এবং নির্মলা সীতারমনের জন্য চতুর্থবার বাজেট ঘোষণা।
ভারতের বাজেট ঘোষণার অনুষ্ঠানটি টেলিভিশন, রেডিওসহ ইউটিউব, টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে সরাসরি স¤প্রচারিত হবে। অনুষ্ঠানের সময়সীমা হতে পারে ৯০ থেকে ১২০ মিনিট পর্যন্ত।
২০২০ সালের বাজেট ঘোষণার অনুষ্ঠান ছিল ভারতের ইতিহাসে দীর্ঘতম। সেবার পাকা ২ ঘণ্টা ৪০ মিনিট বক্তব্য রেখেছিলেন ভারতীয় অর্থমন্ত্রী। তবে টানা ১৬০ মিনিট বক্তব্য রেখেও বাজেটের সব পৃষ্ঠা পড়ে শেষ করতে পারেননি তিনি। দুই পৃষ্ঠা বাকি রেখেই ঘোষণা শেষ করতে হয়েছিল তাকে।
নতুন বাজেটে কী আশা করা যায়? করোনাভাইরাস মহামারির তৃতীয় ঢেউ সামলাচ্ছে ভারত। তা সত্ত্বেও এ অর্থবছরে বড় প্রবৃদ্ধি আশা করছেন অর্থনীতিবিদরা। অবশ্য বাজেট ঘোষণার আগের দিন সোমবারই পার্লামেন্টে অর্থনৈতিক জরিপ ২০২১-২২ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছেন ভারতীয় অর্থমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, চলতি অর্থবছরে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৯ দশমিক ২ শতাংশ ধরা হয়েছে। আর ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশটিতে ৮ থেকে ৮ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভারতের ট্যাক্সদাতারা আশা করছেন, নতুন বাজেটে ট্যাক্স ও সারচার্জ কমানো হবে, গৃহঋণে সুদের হার কমবে, লভ্যাংশ করে ছাড় মিলবে, সিকিউরিটিজ ট্র্যানজেকশন ট্যাক্স দূর হবে। এছাড়া, সাধারণ মানুষের জন্য সেবাখাতের জিএসটি (গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স) বাতিল হবে বলেও আশা করছেন তারা।
চলমান করোনাভাইরাস মহামারির কথা বিবেচনায় অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ও স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে খরচ বাড়ানো হবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, মোদী সরকারের এই বাজেট শুধু মাসখানেক পরে অনুষ্ঠিতব্য উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনেই নয়, সরাসরি প্রভাব ফেলবে ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনেও। তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় থাকতে জনগণের মন জেতার জন্য শেষবারের মতো অর্থ খরচের সুযোগ এবারের বাজেটেই পাবেন নরেন্দ্র মোদী। কারণ, আগামী অর্থবছরে যে বাজেট পাস হবে, তার কার্যকরী প্রভাব পড়ার আগেই নির্বাচনের অগ্নিপরীক্ষা চলে আসবে বিজেপি সরকারের সামনে।
সূত্র: ইন্ডিয়া ডটকম, দ্য ইকোনমিক টাইমস