নওগাঁর মহাদেবপুরে পাওনা টাকার জেরে অটো ভ্যান চালক মহসিনকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত বন্ধু সাখাওয়াত হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে মহাদেবপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর দক্ষিণপাড়া তার নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক মহসিন একই গ্রামের আবু তালেবের ছেলে। বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়া। পুলিশ সুপার বলেন, নিহত মহসিন তার বিবাহের সময় বন্ধু সাখাওয়াত হোসেনের নিকট থেকে তিন হাজার টাকা ধার নেয়। আসামি সাখাওয়াত হোসেন জিয়া সেই টাকা সুদের উপর নিয়েছিলেন। পরে মহসিন এক হাজার টাকা পরিশোধ করলে অবশিষ্ট ২হাজার টাকা দুই মাস পার হয়ে গেলেও ফেরত দেয়নি। পরের সমিতির লোকজন সাখাওয়াত হোসেন জিয়াকে পাওনা টাকা পরিশোধ করতে চাপ দিতে থাকে। এরইমধ্যে সাখাওয়াত হোসেন জিয়ার ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়লে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। গত ১৩ জানুয়ারি দুপুরে সাখাওয়াত হোসেন জিয়া মহসিনকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কথা আছে বলে ডেকে নিয়ে তার অটোভ্যানে মহিষবাথান যাওয়ার কথা বলে নিয়ে যায় তাকে। সন্ধ্যায় মহিষবাতান মোড়ে আসলে তাকে পাওনা টাকার বিষয়ে কথা বলতে থাকে সাখাওয়াত হোসেন। কথা বলার এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে বাকবিতা শুরু হয়। এসময় সাখাওয়াত হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে পাশে পড়ে থাকা ইট সিমেন্ট ঢালাইয়ের একটি টুকরো দিয়ে সজোরে মহসিনের মাথায় আঘাত করলে মহসিন জ্ঞানশুন্য হয়ে পড়ে। পরে সেখান থেকে তাকে ২০০ গজ দক্ষিণে একটি হলুদ ক্ষেতের ভেতর নিয়ে গিয়ে পুনরায় কয়েকবার মাথায় আঘাত করে মহাসিনের মৃত্যু নিশ্চিত করে অটো ভ্যান নিয়ে পালিয়ে যায়। পরদিন ঘুম থেকে উঠে বগুড়ার সান্তাহারে ওই অটো ভ্যান বিক্রি করে। এদিকে আটকের পরে তার দেয়া তথ্য মতে সান্তাহার থেকে চার্জারের খ- খন্ড অংশ উদ্ধার করা হয় এবং আলামত নষ্ট করার অভিযোগে প্রদীপ চন্দ্রকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ তাদের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদানের জন্য বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হবে বলেও জানান পুলিশ সুপার। সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার একেএম মামুন খান চিশতি ও গাজিউর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার সুরাইয়া আকতারসহ পুলিশের উর্দ্ধত কর্মকর্তারা উপন্থিত ছিলেন।